মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় রোজিনা বেগম নামে এক শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি স্থানীয় নবদূত পাঠশালা কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সোমবারের ওই হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাসানীগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারী একই এলাকার মৃত নিজাম মিয়ার মেয়ে। আহতরা হলেন– ধলাইরপার এলাকার জালাল মিয়া, নিহত রোজিনার ভাই ভাসানীগাঁও গ্রামের হারুন মিয়া ও তাঁর স্ত্রী নুরুন নাহার লুবনা।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভাসানীগাঁও গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সোমবার সকালে ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষিজমির মাটি কাটাছিলেন স্থানীয় আব্দুর রহিম। খবর পেয়ে জালাল মিয়া মাটি কাটায় বাধা দেন। পরে আব্দুর রহিমের ছেলে সাগর তাঁর মামা আজবর মিয়া, মনির মিয়াসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় জালাল আহমেদের পায়ের রগ কাটা পড়ে। কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয় রোজিনা বেগমকে।

স্থানীয়রা এক পর্যায়ে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজিনাকে মৃত ঘোষণা করেন। আঘাত গুরুতর হওয়ায় অন্যদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতাহের আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোজিনা বেগম স্থানীয় একটি কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। হামলায় আহত হারুন তাঁর ভাই। প্রতিপক্ষের মূল দ্বন্দ্ব তাঁর সঙ্গেই। 

কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত হত য কমলগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ রোববার সকালে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তাঁদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী মাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালামের বাড়ির গোয়াল থেকে কয়েকজন তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। গরু চুরির কথা শুনে সবাই মিলে লাঠিসোঁটা হাতে তাঁদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে তাঁরা পাশের নাসিরাবাদ গ্রামের দিকে পালিয়ে যান।

পরে নাসিরাবাদ গ্রামের লোকজন গরু চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের ধাওয়া করলে তিনজন স্থানীয় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। এ সময় এলাকাবাসী তাঁদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে পিটুনি দেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আরেকজন গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা