আসন্ন ঈদুল আজহা‌কে সাম‌নে রে‌খে টি‌কেট কা‌লোবাজা‌রিসহ নানা হয়রা‌নি প্রতিরোধে কমলাপুরসহ দে‌শের ৯ রেল স্টেশ‌নে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশন (দুদক)।

বুধবার (২৮ মে) বেলা ১১টা থে‌কে দুদ‌কের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এনফোর্সমেন্ট ইউনিটসহ বি‌ভিন্ন জেলা ইউনিট দে‌শের এসব স্টেশ‌নে এক‌যো‌গে অভিযান প‌রিচালনা কর‌ছে।

বুধবার ক‌মিশ‌নের ডেপু‌টি ডিরেক্টর আকতারুল ইসলাম এ তথ‌্য জানান।

দুদক জানায়, ঢাকা কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সেবা প্রদানে হয়রানি এবং টিকিট কালোবাজারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ র‌য়ে‌ছে। অভি‌যোগ আম‌লে নি‌য়ে দুদ‌কের ঢাকা এনফোর্সমেন্ট ইউনিট বুধবার বেলা ১১টা থে‌কে অভিযান শুরু ক‌রে।

একইভা‌বে দে‌শের চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন, রংপুর রেলওয়ে স্টেশন, ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন, জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন, দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের সেবা প্রদানে হয়রানি এবং টিকিট কালোবাজারিসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে এক‌যো‌গে অভিযান চালা‌চ্ছে দুর্নী‌তি দমন ক‌মিশ‌নের এন‌ফোর্স‌মেন্ট ইউ‌নিট।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ