বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে পরিবর্তন আনা হয়েছে পাকিস্তানের স্কোয়াডে। সাইড স্ট্রেইন চোটে পড়ে ওয়াসিম জুনিয়র বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন, তাঁর জায়গা আরেক পেসার আব্বাস আফ্রিদিকে স্কোয়াডে অর্ন্তভুক্ত করেছে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট।

পিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পিএসএল খেলার সময়ই চোট পেয়েছিলেন পেসার ওয়াসিম। তবে আশা ছিল, সিরিজ শুরু হওয়ার আগেই তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। তা না হওয়ায় এখন বিকল্প খুঁজে নিতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। লাহোরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে এই সময় পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন ওয়াসিম।

পাকিস্তানের হয়ে এখন পর্যন্ত ২০টি–টোয়েন্টি খেলেছেন ওয়াসিম, নিয়েছেন ৩৩ উইকেট। সম্প্রতি শেষ হওয়া পিএসএলেও দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি। ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হন আব্বাস।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের জন্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়াই স্কোয়াড ঘোষণা করে পিসিবি। নিউজিল্যান্ড সিরিজের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও নেই বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিও নেই এই সিরিজে।

আজ থেকেই বাংলাদেশ–পাকিস্তান তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু হচ্ছে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি ভারত–পাকিস্তান সংঘাতের কারণে তিন ম্যাচ হয়ে যায়। সিরিজে বাকি দুটি ম্যাচ হবে ৩০ মে ও ১ জুন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস কেন নেই, কারণ কি জয় শাহ

ফখর জামানের বিরুদ্ধে শরীফুল ইসলাম এলবিডব্লুর আবেদন করতেই আঙুল তুললেন আম্পায়ার। ফখর কিছুটা দ্বিধায়, আসলেই কি আউট! তবে সংশয় থাকলেও রিভিউ নেওয়ার সুযোগ ছিল না পাকিস্তান ওপেনারের। কারণ, এই ম্যাচে ডিআরএস (ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) নেই।

শুধু গতকালের ম্যাচটিতেই নয়, বাংলাদেশ-পাকিস্তান চলমান তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ডিআরএস নেই। এমনকি কিছুদিন আগে শেষ হওয়া পিএসএলের শেষ দিকেও ডিআরএস ছিল না। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর কারণেই ডিআরএস নেই। যে প্রতিষ্ঠান ডিআরএস সেবা দিয়ে থাকে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের এই সাবেক সচিব।

গত মাসে শুরু হওয়া পিএসএলের প্রথম থেকেই ডিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে। তবে চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়ালে পিএসএল স্থগিত করা হয়। ওই সময় বিদেশি খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সদস্য ও সম্প্রচার ক্রুরা পাকিস্তান ছেড়ে যান। এক সপ্তাহ পর পিএসএল শুরু হলেও ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা আর পাকিস্তানে ফেরেননি। ডিআরএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ কর্মীই ছিলেন আবার ভারতীয়।

গত রোববার পিএসএল শেষ হওয়ার পর বুধবার শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের এই সিরিজেও ডিআরএস নেই। সামাটিভি অনলাইনে একটি সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহর চাপে পিএসএল ও বাংলাদেশ সিরিজে ডিআরএস প্রযুক্তি নেই।

আরও পড়ুন২০০ রান তাড়ায় এ কেমন ব্যাটিং বাংলাদেশের৪ ঘণ্টা আগে

সূত্র জানিয়েছে, যে কোম্পানি ডিআরএস প্রযুক্তির হক-আই সরবরাহ করে, তাদের পাকিস্তানে না যেতে চাপ দেওয়া হয়েছে। পরে কোম্পানিটি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) তাদের অপারগতার কথা জানায়।

হক-আই কোম্পানি পাকিস্তানে নিরাপত্তা শঙ্কা জানানোর পর পিসিবির পক্ষ থেকে পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য থাকা প্রেসিডেনশিয়াল-মর্যাদার নিরাপত্তা হক-আই স্টাফদেরও দেওয়া হবে—এমন আশ্বাসেও তাঁরা রাজি হননি।

আরও পড়ুন‘পদত্যাগ’ করতে পারেন বিসিবি সভাপতি ফারুক১৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে ডিআরএস কেন নেই, কারণ কি জয় শাহ
  • এক বছর ফেরা হাসানের কাছেই হেরে গেল বাংলাদেশ
  • লাহোরেই পেসারদের আসল পরীক্ষা
  • এ সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপে চোখ পাকিস্তানের
  • ভারত–পাকিস্তান ‘যুদ্ধে’র আঁচ বাংলাদেশ–পাকিস্তান সিরিজে
  • টেইটের পিএসএল অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান সিমন্স 
  • আমিরাতের কাছে হারে ‘চাঙা’ হয়ে পাকিস্তানে বাংলাদেশের ‘সেরাটা খেলা’র আশায় সিমন্স
  • সাকিবের জন্য বাংলাদেশ দলের দরজা খোলা, বললেন বিসিবি পরিচালক
  • রিশাদে অনুপ্রাণিত লিটনরা