চারদিকে কোরবানি ঈদের আমেজ। পশুর হাটে শুরু হয়েছে হাঁকডাক। এরই মধ্যে দেখা মিলেছে বিশাল একটি ষাঁড়ের, নাম তার ‘সাদাময়না’। সাদা-কালো রঙের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি এখন যেন এলাকার অঘোষিত সেলিব্রিটি।

ষাঁড়ের মালিক নূরুল কাইয়ুম স্বপন। পেশায় পল্লী চিকিৎসক হলেও পশু লালনে তাঁর ঝোঁক রয়েছে। তাঁর বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের চকরাধাকানাই গ্রামে। তাঁর বাড়ির উঠোনেই দেখা গেল বিশালদেহী ‘সাদাময়না’ ষাঁড়টি।

চার বছর ধরে নিজ হাতে লালনপালন করা এ ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন আশপাশের মানুষ। সাদাময়নার ওজন প্রায় ৩২ মণ। লম্বায় ৯ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, আর রাউন্ড প্রায় ৮ ফুটের বেশি। গায়ের রং সাদা-কালো মেশানো বলে গরুটিকে তাঁর সন্তানরা আদর করে নাম রেখেছেন ‘সাদাময়না’।

পল্লী চিকিৎসক স্বপন জানান, জন্ম নেওয়ার পর থেকে একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। মোটাতাজাকরণ বা কোনো ইনজেকশন বা কৃত্রিম খাদ্য ব্যবহার করা হয়নি। গরুটির যত্নে প্রতিদিন দুইবার গোসল করানো হয়। খাওয়ানো হয় প্রতিদিন ১০ কেজি কুঁড়া-ভূষি, ৫ কেজি খড় ও ৫ কেজি কচি ঘাস। প্রতি মাসে ষাঁড়টির খাবারের পেছনে খরচ হতো ২০ হাজার টাকার মতো। তিনি বলেন, ‘এই ষাঁড় গরুটা আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মতো। গরুটিকে ছোটবেলা থেকেই আমরা পরিবারের সদস্যের মতো যত্ন করে বড় করেছি। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ানো, গোসল করানো, হাঁটানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বাড়তি নজর ছিল। গরমে গোয়ালঘরে ২৪ ঘণ্টা সিলিং ফ্যান চালু রাখা হয়।’

সাদাময়নার মালিক স্বপনের ভাষ্য, গত বছরের কোরবানির ঈদের সময় গরুটির দাম উঠেছিল সাড়ে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে প্রত্যাশা ছিল ১০ লাখ টাকা। সেই কারণে শেষ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়নি। এবার ঈদ সামনে রেখে গরুটিকে আরও যত্ন করে প্রস্তুত করা হয়েছে।

এটি শুধু একটি ষাঁড় না, আমার শ্রম, ভালোবাসা, আর বিশ্বাসের ফল, বললেন স্বপন মিয়া। তিনি আশা করছেন, এবার কেউ হয়তো তাঁর এই মেহনতের মূল্য ১৫ লাখ টাকা দিতে রাজি হবেন।

প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনেকেই গরুটি দেখতে আসছেন। কেউ কেউ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শেয়ার করছেন। 

এলাকার মানুষের ভাষায়, ঈদের আগে সাদাময়না যেন এক নতুন ধরনের উৎসবে পরিণত হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ স দ ময়ন স বপন

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ