মাত্র সাড়ে আট কিলোমিটার নৌপথ পাড়ি দিয়েই মহেশখালী দ্বীপ থেকে যাওয়া যায় কক্সবাজার জেলা শহরে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় এখন শত কিলোমিটার সড়কপথ ঘুরে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে মহেশখালীর বাসিন্দাদের।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে সব ধরনের নৌ চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নৌপথে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে এই নির্দেশনা দেয় মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন। এর পর থেকে নৌপথটিতে সি-ট্রাক, কাঠের নৌকা, স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযানের চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মহেশখালীর বাসিন্দাদের বেশির ভাগই জেলা শহরে নিয়মিত যাওয়া-আসা করেন নৌপথে। তবে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়লে জরুরি প্রয়োজনে বদরখালী-চকরিয়া হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে জেলা শহরে যান। এই পথটিতে যেতে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়।

নৌ চলাচল বন্ধের বিষয়ে জানতেন অনেকেই। এমন অবস্থায় ঘাটে এসে ফেরত যেতে হয় যাত্রীদের। গতকাল বিকেলে মহেশখালী ঘাটে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে

জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ