নিরবের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ওপারের ইধিকা
Published: 1st, June 2025 GMT
ভারতের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইধিকা পাল। শাকিব খানের সঙ্গে বড় পর্দায় জুটি বেঁধে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। এবার চিত্রনায়ক নিরবের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ইধিকা। তবে কোনো সিনেমায় নয়, একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে। এটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। আফগানিস্তানের কোমল পানীয়র বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসার পর নেটদুনিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে।
বিজ্ঞাপনের গল্পে রয়েছে রোমান্সের ছোঁয়া। এতে দেখা যায়—দুবাইয়ের রোদজ্বলা মরুভূমিতে ইধিকার গাড়ি নষ্ট হয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা ইধিকা ক্লান্ত ও বিরক্ত। এমন সময় পাশ দিয়ে জেমসবন্ড স্টাইলে হেঁটে যান নিরব। তার দৃষ্টিগোচর হয় ইধিকা। দ্বিতীয়বার চিন্তা না করেই কোমল পানীয় ছুঁড়ে দেন তার দিকে। পানীয় পান করতেই তপ্ত মরুভূমিতে বইতে শুরু করে প্রশান্তির বাতাস—দুজনের মাঝে তৈরি হয় এক রোমান্টিক মুহূর্ত।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে চিত্রনায়ক নিরব বলেন, “এটি আফগানিস্তানের একটি কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপন। যদিও এটি বিজ্ঞাপন, তবু পুরোপুরি সিনেমাটিক আবহে নির্মাণ করা হয়েছে। মরুভূমিতে ইধিকার সঙ্গে কাজ করাটা ছিল দারুণ উপভোগ্য।”
আরো পড়ুন:
অপুকে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা না বলার আহ্বান জয়ের
বুবলীর ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসের পোস্ট মর্টেম করছেন নেটিজেনরা
বিজ্ঞাপনটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আলভী। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি নিজেই, সাথে আছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সিঁথি।
এ বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পর্দায় দেখা গেল নিরব ও ইধিকাকে, যা ভবিষ্যতে বড় পর্দায় কাজের ইঙ্গিত হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?