গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক ও পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলার ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২৩ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক।  

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশের (শ্রীপুর জোন) উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আটক ২৩ শ্রমিককে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত শতাধিক

হবিগঞ্জে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

গাজীপুর শিল্প পুলিশের (শ্রীপুর জোন) ইন্সপেক্টর আবদুল লতিফ বলেন, সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নয়নপুর (নতুন বাজার) এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক জাকির হোসেন (২৭)। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে।

শ্রমিক নিহতের জেরে পরদিন মঙ্গলবার (৩ জুন) কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের শান্ত থাকার জন্য বলে। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের এপিসি কার (আর্মর্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শ্রমিকদের কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়।

শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, জাকির হোসেন ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না দিয়ে এক কর্মকর্তা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এতে সে অপমানিত হয়ে ৮তলা ভবনের ওই কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ঢাকা/রফিক/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ