গাজীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, মামলায় আসামি দেড় হাজার
Published: 4th, June 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক ও পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলার ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৬৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২৩ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক।
মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশের (শ্রীপুর জোন) উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আটক ২৩ শ্রমিককে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত শতাধিক
হবিগঞ্জে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
গাজীপুর শিল্প পুলিশের (শ্রীপুর জোন) ইন্সপেক্টর আবদুল লতিফ বলেন, সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নয়নপুর (নতুন বাজার) এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন শ্রমিক জাকির হোসেন (২৭)। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে।
শ্রমিক নিহতের জেরে পরদিন মঙ্গলবার (৩ জুন) কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের শান্ত থাকার জন্য বলে। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের এপিসি কার (আর্মর্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শ্রমিকদের কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়।
শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, জাকির হোসেন ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না দিয়ে এক কর্মকর্তা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এতে সে অপমানিত হয়ে ৮তলা ভবনের ওই কারখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ঢাকা/রফিক/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসবির বাশার প্রতারণার আরও ৯ মামলায় গ্রেপ্তার
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে আরও নয়টি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১০ দিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল বাশারকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। প্রতারণার পৃথক নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় ১৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খায়রুল বাশার তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। চক্রটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, স্কলারশিপ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, মনগড়া প্রতিনিধিত্ব ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হতো। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অনেকের নামে বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনই করা হয়নি। আবার অনেকে বিদেশে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছেন।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশার গ্রেপ্তার১৪ জুলাই ২০২৫