অপরিপক্ব হাঁড়িভাঙা আম, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ক্রেতা
Published: 5th, June 2025 GMT
রংপুরের জিপিআই পণ্য ‘হাঁড়িভাঙা’ আম। দেশজুড়ে এর সুখ্যাতি। প্রতি বছর জুনের মাঝামাঝি বাজারে আসে হাঁড়িভাঙা। তখনই সম্পূর্ণ পরিপক্ব হয়। এবার নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে অপরিপক্ব হাঁড়িভাঙা। কৃত্রিমভাবে এসব আম পাকিয়ে বাজারজাত করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন এলাকা মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ও ময়েনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাত করা হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে বাগান থেকে আম সংগ্রহ করে প্লাস্টিকের ক্যারেটে ভরা হচ্ছে। পরে সেগুলো ট্রাকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গলবার রাতে ময়েনপুর ইউনিয়নের কদমতলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ হাঁড়িভাঙা আম স্তূপ করে রাখা হয়েছে। পাশেই সড়কে দাঁড়ানো একটি ট্রাক। ক্যারেটে ভরা হচ্ছে আম। সেগুলো ট্রাকে লোড করা হচ্ছে। দেখা গেল একটি প্লাস্টিকের বোতলে পানি সদৃশ্য কিছু আমের ওপর স্প্রে করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানালেন, হাঁড়িভাঙা আমে এখনও পরিপক্বতা আসেনি। তাই ফরমালিন স্প্রে করা হচ্ছে।
কদমতলা বাজারে যেখানে আম ট্রাকে লোড করা হচ্ছে, তার আশপাশে অনেক মানুষের জটলা। স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মিয়া বলেন, এখনও আম পরিপক্ব হয়নি। তার পরও অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়তি লাভের আশায় বাগান থেকে আম পেড়ে বিভিন্ন এলাকায় পাঠাচ্ছেন।
শফিউল ইসলাম নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, আম পাকাতে বিষ (ফরমালিন) মেশানো হচ্ছে। এটা একটা ভয়ংকর ব্যাপার।
পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাকের ভাষ্য, বাগানে আম পুরাট (পরিপক্ব) হয়েছে। বাগান মালিকরা তাঁকে ডেকে আম বিক্রির কথা বলেন। তাই তাদের কাছ থেকে তিনি আম কিনছেন।
শুধু কদমতলা বাজারই নয়, হাঁড়িভাঙা আমের প্রধান উৎপাদন এলাকা খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জ বাজার, পাইকাড়ের হাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সর্বত্রই আম বিক্রি করার ধুম চলছে।
স্থানীয় বাগান মালিক আবু তাহের জানান, কিছু কিছু গাছে আম পাকা শুরু হয়েছে। তবে পাইকারিভাবে (গণহারে) আম পাড়া ঠিক হচ্ছে না। তিনি এখনও আম পাড়া শুরু করেননি। অনেকে টাকার লোভে অপরিপক্ব আম পেড়ে বিক্রি করছে, এটা ঠিক নয়। এতে হাঁড়িভাঙার সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
এ ব্যাপারে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন বলেন, প্রশাসন থেকে এখনও হাঁড়িভাঙা আম গাছ থেকে সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ হয়নি। তবে প্রতি বছর জুনের ১৫ থেকে ২০ তারিখে আম পাড়া হয়। এর আগে আম পাড়া ও বিক্রি করা অন্যায়। কোথাও আগে হাঁড়িভাঙা আম পাড়া হলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুলতামিস বিল্লাহ সমকালকে বলেন, অপরিপক্ব আম পাড়া ও ফরমালিন মেশানোর ব্যাপারে কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি। কোথাও এটা করে থাকলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ভ ন ন এল ক য় ব যবস য় আম প ড়
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রুপালি পর্দায় তানিয়া বৃষ্টি
ছোট পর্দার অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। অভিনয় গুণে দর্শকের কাছে প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন। তবে টিভি নাটকের কাজ নিয়েই অধিক ব্যস্ত সময় পার করেন। দীর্ঘ বিরতির পর ফের বড় পর্দায় ফিরছেন এই অভিনেত্রী।
২০১৫ সালে আকরাম খান পরিচালিত ‘ঘাসফুল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তানিয়া বৃষ্টির। ২০১৯ সালে অভিনয় করেন ‘গোয়েন্দাগিরি’ সিনেমায়। সেই ধারাবাহিকতায় এবার তিনি যুক্ত হচ্ছেন রায়হান খান পরিচালিত ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমায়।
আরো পড়ুন:
সিনেমায় জুটি বাঁধলেন ইয়াশ-তটিনী
বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
পরিচালক রায়হান খান বলেন, “ট্রাইব্যুনাল’ অসাধারণ গল্পের সিনেমা। আমি বিশ্বাস করি, এই সিনেমা দর্শকদের মনে নাড়া দেবে। এটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি কোর্টরুম ড্রামা, যার মধ্যে রয়েছে তীব্র ক্রাইম থ্রিলারের ছোঁয়া। গল্পটি ঘুরে দাঁড়ায় ন্যায়বিচার, নৈতিকতা এবং প্রতিটি রায়ের পেছনের রাজনীতি ঘিরে।”
বাস্তব ঘটনার অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে সিনেমাটির গল্প। গম্ভীর এক চরিত্রে দেখা যাবে তানিয়া বৃষ্টিকে। তাছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন—তারিক আনাম খান, মৌসুমী হামিদ, আদর আজাদ, রাকিব হোসেন ইভান, সায়রা আক্তার জাহান প্রমুখ।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত