Prothomalo:
2025-06-12@13:24:46 GMT

ইতিহাসে মুসলিম নারী চিকিৎসক

Published: 11th, June 2025 GMT

মদিনার মসজিদে নববির ছায়ায় একটি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। ভেতরে রুফায়দা আল-আসলামিয়া (রা.) একজন আহত সাহাবির বাহু থেকে তির বের করছেন। এই তাঁবু ইসলামি ইতিহাসের প্রথম মোবাইল হাসপাতাল, শুধু চিকিৎসার স্থান নয়, বরং মুসলিম নারীদের সাহস ও দক্ষতার প্রতীক।

আধুনিক সময়ে অনেকে মনে করেন, ইসলামি ইতিহাসে নারীদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে তেমন অবদান নেই, কিন্তু এই ধারণা সত্য নয়। মুসলিম নারীরা চিকিৎসা, নার্সিং, ওষুধ তৈরি, এমনকি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। এই প্রবন্ধে আমরা ইসলামি ইতিহাসে মুসলিম নারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধর্মীয় ভিত্তি, তাদের বিশেষায়িত ভূমিকা এবং সমাজে তাদের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।

রুফায়দা আল-আসলামিয়া (রা.

) তাঁর পিতা সাদ আল-আসলামির কাছ থেকে চিকিৎসা শিখে বদর ও খন্দকের যুদ্ধে আহতদের সেবা করেন। তাঁর তাঁবু ছিল ইসলামি ইতিহাসের প্রথম মোবাইল হাসপাতাল।

ধর্মীয় ভিত্তি: চিকিৎসার প্রতি ইসলামের গুরুত্ব

ইসলাম চিকিৎসাকে বিশেষ মর্যাদা দেয়। কোরআন বলে, ‘যখন আমি অসুস্থ হই, তিনিই আমাকে সুস্থ করেন।’ (সুরা শুয়ারা, আয়াত: ৮০)

নবীজি (সা.) চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘হে আল্লাহর বান্দারা, চিকিৎসা গ্রহণ করো। কারণ, আল্লাহ যে রোগ দিয়েছেন, তার চিকিৎসাও দিয়েছেন, একটি রোগ ছাড়া।’ সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘সেটি কী?’ তিনি বললেন, ‘বার্ধক্য।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৩৮৫৫)

এই শিক্ষা মুসলিমদের রোগের চিকিৎসা ও ওষুধের জ্ঞান অনুসন্ধানে উৎসাহিত করেছে।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) যেভাবে সমালোচনা মোকাবেলা করতেন০৯ মে ২০২৫প্রথম যুগের নারীরা বাবার থেকে চিকিৎসাবিদ্যা শিখতেন

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনূস-তারেক বৈঠকের আগে লন্ডনে আমীর খসরু

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আগে লন্ডনে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি লন্ডনে পৌঁছান বলে যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিসবাহ উজ্জামান সোহেল জানিয়েছেন।

অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক হচ্ছে আগামীকাল ১৩ জুন শুক্রবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল নয়টায়। সেন্ট্রাল লন্ডনের পার্ক লেনের ছয় তারকা ডরচেস্টার হোটেলে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে দেশে-বিদেশে এই বৈঠক নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে দলটির নেতা মিসবাহ উজ্জামান সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুরো বিষয়টি তারেক রহমান তত্ত্বাবধান করছেন। সুতরাং সময় এলে দেখা যাবে কারা কারা বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।’

আগামীকালের এই বৈঠক উপলক্ষে ডরচেস্টার হোটেলের সামনে অবস্থান নেবেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। যুক্তরাজ্য বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান যেখানে যাবেন, আমরাও সেখানে যাব—এটাই স্বাভাবিক। আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের সফলতা কামনা করে স্বাগত জানাতে আমরা যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা ডরচেস্টার হোটেলের সামনে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সমবেত হব।’

বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পেতে পারে। এ ছাড়া চলমান সংস্কার ও বিচারের বিষয়ও আলোচনায় থাকবে। অন্যদিকে মঙ্গলবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘তারেক রহমান এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বড় রাজনৈতিক দলের নেতা এবং অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তাঁরা যখন বসবেন, তখন বাংলাদেশের এখনকার যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী জাতীয় নির্বাচন, জুলাই চার্টার (জুলাই সনদ)—এগুলোর যেকোনো বিষয়ে আলাপ হতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ