Samakal:
2025-11-02@13:16:19 GMT

ক্যাবরেরার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন

Published: 12th, June 2025 GMT

ক্যাবরেরার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন

মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে যে বাংলাদেশ দলটি খেলল, সেই দলটির কোচ সত্যিই স্প্যানিশ তো? কোথায় সেই স্প্যানিশ ঘরানার আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজি বা যা হলো, সেটাই বা কী?

পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের আক্রমণভাগের রসায়নে সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগ ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে– এমন কোনো দৃশ্য কি আপনার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে? মনে করার জন্য কিছুক্ষণ সময় নিন। আমার অন্তত এই মুহূর্তে পড়ছে না। ফুটবলবিষয়ক এক ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান বলছে, ২-১ গোলে হারের ম্যাচে বাংলাদেশের মাত্র একটি শট ঠেকাতে হয়েছে সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক ইয়াসিন মাহবুবকে। এমন দলগত ফুটবল দেখার পর যখন ‘ক্লোজড ডোর প্র্যাকটিস’ কথাটা শুনতে হয়, তখন ‘ক্লোজড ডোর’ কথাটির যথার্থতা আর থাকে বলে মনে হয় না!

 ১৬১ র‌্যাঙ্কিংধারী সিঙ্গাপুর ঢাকার মাঠে এমন সাধারণ মানের ফুটবল খেলবে– দর্শক হিসেবে আমার কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এই দলটিকেই কিনা বাগে পেয়েও হারাতে পারল না বাংলাদেশ। ‘বাগে’ পাওয়ার কথাটি কেন আসছে, সেটি বোঝার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে নামার আগ পর্যন্ত।

সাধারণত সিঙ্গাপুর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে অভ্যস্ত। কিন্তু ঢাকার দুর্বিষহ গরম ও ভারী মাঠের জন্য আক্রমণাত্মক কৌশলের পরিবর্তে আসিয়ান দলটির অবলম্বন ছিল সাবধানী ফুটবল। হাই প্লেসিংয়ের পরিবর্তে তারা করেছে দলগত মিড ব্লক ও লো ব্লক। প্রথাগত কোনো উইঙ্গার না খেলিয়ে দুটি লাইনে পাঁচ মিডফিল্ডার খেলিয়ে মিডল করিডোরে পায়ের জঙ্গল বানিয়ে গোলের দরজা বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করেছেন সিঙ্গাপুরের জাপানি কোচ সুমু অগুরা। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, এই গরম আবহাওয়ায় প্রতিপক্ষের পায়ে বল থাকা অবস্থায় বলের পেছনে বেশি দৌড়ঝাঁপ না করে বল দখলে আসার পর কার্যকরী ফুটবল খেলা। নিজেরা গোল হজম না করলে একটা সময় গোল আসবেই!  এবং শেষ পর্যন্ত এই কৌশলেই সফল তারা।

সাধারণত এই ট্যাকটিক্সের পাল্টা স্ট্র্যাটেজি হলো মাঝমাঠের ট্রাফিক জ্যাম কাটাও আর উইংয়ে খেলা ছড়িয়ে দাও। কিন্তু জাপানি অগুরাকে জবাব দিতে স্প্যানিশ ক্যাবরেরা তাঁর দলকে নিয়ে কী করতে চাইলেন, বোঝা গেল না। উইংয়ে খেলা ছড়িয়ে দিতে উইঙ্গার রাকিব হোসেনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র গোলদাতা রাকিবকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা গেছে বলে মনে হয় না।

অর্থনীতির ভাষায় বলতে হয়, ক্যাবরেরা তাঁর হাতে থাকা পর্যাপ্ত পুঁজির ব্যবহার করতে পারেননি। প্রত্যাশিত ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দলকে খেলালেন। রক্ষণভাগের ওপর ছায়া বাড়াতে ভুটান ম্যাচের গোলদাতা সোহেল রানার জায়গায় মোহাম্মদ হৃদয়, রাইটব্যাক তাজ উদ্দিনের জায়গায় আহাদ তপু। শমিত সোমকে জায়গা দিতে ছেঁটে ফেলা হলো জামাল ভূঁইয়াকে।

একাদশে মোটাদাগে সবচেয়ে বড় দুটি প্রশ্ন– নাম্বার নাইন পজিশনে রাকিব কেন? শেষের দিকে সেই রাকিবকেই কিনা খেলতে দেখা গেল রাইটব্যাক পজিশনে। এতে দলের আক্রমণভাগের সেরা উইঙ্গারের পুরো সামর্থ্য কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। একই সঙ্গে রাইট ওয়াইড মিডফিল্ডার হিসেবে কাজেম শাহকে বেছে নেওয়াটাও ভুল হিসেবে ফুটে উঠেছে। আবার পুরো দস্তুর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হৃদয়কে যখন বেছে নেওয়াই হলো, তাহলে হামজাকে আরও একটু ওপরে উঠতে দেওয়ার লাইসেন্স কেন দিলেন না ক্যাবরেরা!

আর গোল দুটি হজমে বিশেষ করে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা যে ভুলগুলো করলেন, তার সমাধান এই পর্যায়ে এসে আর কোনো কোচের হাতে থাকে না। ‘বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা অব দ্য বল মার্কিং করতে জানে না’–যে কোনো বিদেশি কোচ এলেই এ কথা বারবার বলেন। কিন্তু এই আন্তর্জাতিক লেভেলে এসে এই বিষয়গুলো তো আর তপু, সাদদের শেখানোর সুযোগ নেই। তাই চরম উত্তেজনার পারদ ছড়ানো ম্যাচটি শেষ হলো গোঁজামিলের মধ্য দিয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র ক য বর র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ