Samakal:
2025-06-13@14:00:09 GMT

ক্যাবরেরার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন

Published: 12th, June 2025 GMT

ক্যাবরেরার কৌশল নিয়ে প্রশ্ন

মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে যে বাংলাদেশ দলটি খেলল, সেই দলটির কোচ সত্যিই স্প্যানিশ তো? কোথায় সেই স্প্যানিশ ঘরানার আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজি বা যা হলো, সেটাই বা কী?

পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের আক্রমণভাগের রসায়নে সিঙ্গাপুরের রক্ষণভাগ ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে– এমন কোনো দৃশ্য কি আপনার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে? মনে করার জন্য কিছুক্ষণ সময় নিন। আমার অন্তত এই মুহূর্তে পড়ছে না। ফুটবলবিষয়ক এক ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান বলছে, ২-১ গোলে হারের ম্যাচে বাংলাদেশের মাত্র একটি শট ঠেকাতে হয়েছে সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক ইয়াসিন মাহবুবকে। এমন দলগত ফুটবল দেখার পর যখন ‘ক্লোজড ডোর প্র্যাকটিস’ কথাটা শুনতে হয়, তখন ‘ক্লোজড ডোর’ কথাটির যথার্থতা আর থাকে বলে মনে হয় না!

 ১৬১ র‌্যাঙ্কিংধারী সিঙ্গাপুর ঢাকার মাঠে এমন সাধারণ মানের ফুটবল খেলবে– দর্শক হিসেবে আমার কাছে এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। এই দলটিকেই কিনা বাগে পেয়েও হারাতে পারল না বাংলাদেশ। ‘বাগে’ পাওয়ার কথাটি কেন আসছে, সেটি বোঝার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী বছর মার্চে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে নামার আগ পর্যন্ত।

সাধারণত সিঙ্গাপুর আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে অভ্যস্ত। কিন্তু ঢাকার দুর্বিষহ গরম ও ভারী মাঠের জন্য আক্রমণাত্মক কৌশলের পরিবর্তে আসিয়ান দলটির অবলম্বন ছিল সাবধানী ফুটবল। হাই প্লেসিংয়ের পরিবর্তে তারা করেছে দলগত মিড ব্লক ও লো ব্লক। প্রথাগত কোনো উইঙ্গার না খেলিয়ে দুটি লাইনে পাঁচ মিডফিল্ডার খেলিয়ে মিডল করিডোরে পায়ের জঙ্গল বানিয়ে গোলের দরজা বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করেছেন সিঙ্গাপুরের জাপানি কোচ সুমু অগুরা। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, এই গরম আবহাওয়ায় প্রতিপক্ষের পায়ে বল থাকা অবস্থায় বলের পেছনে বেশি দৌড়ঝাঁপ না করে বল দখলে আসার পর কার্যকরী ফুটবল খেলা। নিজেরা গোল হজম না করলে একটা সময় গোল আসবেই!  এবং শেষ পর্যন্ত এই কৌশলেই সফল তারা।

সাধারণত এই ট্যাকটিক্সের পাল্টা স্ট্র্যাটেজি হলো মাঝমাঠের ট্রাফিক জ্যাম কাটাও আর উইংয়ে খেলা ছড়িয়ে দাও। কিন্তু জাপানি অগুরাকে জবাব দিতে স্প্যানিশ ক্যাবরেরা তাঁর দলকে নিয়ে কী করতে চাইলেন, বোঝা গেল না। উইংয়ে খেলা ছড়িয়ে দিতে উইঙ্গার রাকিব হোসেনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র গোলদাতা রাকিবকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা গেছে বলে মনে হয় না।

অর্থনীতির ভাষায় বলতে হয়, ক্যাবরেরা তাঁর হাতে থাকা পর্যাপ্ত পুঁজির ব্যবহার করতে পারেননি। প্রত্যাশিত ৪-২-৩-১ ফরমেশনে দলকে খেলালেন। রক্ষণভাগের ওপর ছায়া বাড়াতে ভুটান ম্যাচের গোলদাতা সোহেল রানার জায়গায় মোহাম্মদ হৃদয়, রাইটব্যাক তাজ উদ্দিনের জায়গায় আহাদ তপু। শমিত সোমকে জায়গা দিতে ছেঁটে ফেলা হলো জামাল ভূঁইয়াকে।

একাদশে মোটাদাগে সবচেয়ে বড় দুটি প্রশ্ন– নাম্বার নাইন পজিশনে রাকিব কেন? শেষের দিকে সেই রাকিবকেই কিনা খেলতে দেখা গেল রাইটব্যাক পজিশনে। এতে দলের আক্রমণভাগের সেরা উইঙ্গারের পুরো সামর্থ্য কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। একই সঙ্গে রাইট ওয়াইড মিডফিল্ডার হিসেবে কাজেম শাহকে বেছে নেওয়াটাও ভুল হিসেবে ফুটে উঠেছে। আবার পুরো দস্তুর ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হৃদয়কে যখন বেছে নেওয়াই হলো, তাহলে হামজাকে আরও একটু ওপরে উঠতে দেওয়ার লাইসেন্স কেন দিলেন না ক্যাবরেরা!

আর গোল দুটি হজমে বিশেষ করে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা যে ভুলগুলো করলেন, তার সমাধান এই পর্যায়ে এসে আর কোনো কোচের হাতে থাকে না। ‘বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা অব দ্য বল মার্কিং করতে জানে না’–যে কোনো বিদেশি কোচ এলেই এ কথা বারবার বলেন। কিন্তু এই আন্তর্জাতিক লেভেলে এসে এই বিষয়গুলো তো আর তপু, সাদদের শেখানোর সুযোগ নেই। তাই চরম উত্তেজনার পারদ ছড়ানো ম্যাচটি শেষ হলো গোঁজামিলের মধ্য দিয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ য ভ য় র ক য বর র ক য বর র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিতে দু’জন আহত

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দু’জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন– মুরগি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও রিকশাচালক মো. মিঠু। শুক্রবার ভোরে ওয়ারী ও বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আহতদের মধ্যে ওয়ারী থেকে আসা সিরাজুল ইসলামের হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। আর মোহাম্মদপুরের মিঠুর পেটে গুরুতর জখম রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সিরাজুলের ছেলে আবু বক্কর হাসপাতালে জানান, তাঁর বাবা ভোর ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের  বাসা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কাপ্তান বাজারে যাওয়ার পথে টিকাটুলী রেলগেট এলাকায় তিন ছিনতাইকারী তাঁর গতিরোধ করে। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে সিরাজুল বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাঁর হাতে-পায়ে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ৭০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। খবর পেয়ে স্বজন ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।  

অপর ঘটনায় আহত রিকশাচালক মিঠুকে হাসপাতালে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মী মো. ফখরুদ্দিন। তিনি জানান, মোহাম্মদপুরে থাকেন মিঠু। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাজমহল রোডে রিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর অটোরিকশা থামিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়।  বাধা দিলে মিঠুর পেটে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এর পর তাঁর কাছে থাকা ২ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। মিঠুর চিৎকার শুনে ফখরুদ্দিন এগিয়ে যান। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় ঢামেক হাসপাতালে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ