‘অবৈধ’ অভিবাসনবিরোধী অভিযানের প্রতিবাদে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে সেখানে ফেডারেল কর্মী ও ফেডারেল সম্পদের নিরাপত্তায় চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোন ক্ষমতাবলে এসব সেনা মোতায়েন করলেন, তাঁরা কারা ও কী দায়িত্ব পালন করছেন, তা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।

কোন কোন সেনাদের লস অ্যাঞ্জেলেসে পাঠানো হয়েছে

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে লস অ্যাঞ্জেলেস ন্যাশনাল গার্ড সেনাদের মোতায়েন করেন। ন্যাশনাল গার্ড সেনারা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অধীন থাকেন এবং অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা সেই অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

ন্যাশনাল গার্ড সেনারা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সদস্য হওয়ায় তাঁরা সাধারণত খণ্ডকালীন সদস্য হন, অর্থাৎ সামরিক দায়িত্ব ছাড়াও তাঁদের অন্যান্য চাকরি বা পেশা থাকে।

অন্যদিকে ইউএস মেরিনরা হলেন সক্রিয় দায়িত্বে নিয়োজিত সেনা। এটি তাঁদের পূর্ণকালীন পেশা।

চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনার বেশির ভাগই আসছেন ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ড থেকে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের একটি ইউনিট ৭৯তম ইনফ্যানট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ২ হাজার ১০০ জন সেনা মাঠে মোতায়েন রয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে আফ্রিকা—বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত মোকাবিলায় মেরিন সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে, যেমন বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসগুলোর ওপর হুমকি দেখা দিলে নিরাপত্তা জোরদারে দ্রুত মোতায়েনের জন্য তাঁদের ব্যবহার করা হয়।

এসব সেনা একটি বিশেষ বাহিনীর অধীন মোতায়েন থাকবে, যার নাম টাস্ক ফোর্স ৫১।

যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে আইনত কীভাবে সেনা মোতায়েন সম্ভব

যুক্তরাষ্ট্রের আইন সংকলনের ‘টাইটেল ১০’ ধারার ভিত্তিতে ট্রাম্প ৭ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের ফেডারেল দায়িত্ব পালনের জন্য ডেকে পাঠান। ‘টাইটেল ১০’ মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণে ব্যবহৃত একটি ফেডারেল আইন।

‘টাইটেল ১০’-এর একটি ধারা সেকশন ১২৪০৬ প্রেসিডেন্টকে ন্যাশনাল গার্ড ইউনিটগুলোকে ফেডারেল দায়িত্বে মোতায়েনের অনুমতি দেয়। তবে এটা সেই ক্ষেত্রে যখন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ হয়, অথবা বিদ্রোহ বা বিদ্রোহের আশঙ্কা থাকে, অথবা যদি প্রেসিডেন্ট নিয়মিত সেনাবাহিনী দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইন কার্যকর করতে অসমর্থ হন।

প্রেসিডেন্টের কাছে কিছু সীমিত ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে মেরিন সেনার মতো সক্রিয় দায়িত্বে থাকা সেনা মোতায়েনের ক্ষমতাও রয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন সেনারা কোথা থেকে এসেছেন

চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনার বেশির ভাগই আসছেন ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ড থেকে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়া ন্যাশনাল গার্ডের একটি ইউনিট ৭৯তম ইনফ্যানট্রি ব্রিগেড কমব্যাট টিমের ২ হাজার ১০০ জন সেনা মাঠে মোতায়েন রয়েছেন।

এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা অ্যানা শহরে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র লস অ য ঞ জ ল স সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি

চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।

গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।

পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ