গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। এবার বহু ত্যাগের বিনিময়ে একটা সুযোগ এসেছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের। বাংলাদেশে ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন ছাড়া সব কটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের মতো নির্বাচন যেকোনো সময়েই অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব।

কিন্তু যেনতেন একটা নির্বাচন করলে কি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে?আবার একটা যেনতেন নির্বাচন করা হলে তা ‘জুলাই ২০২৪’ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। ১৯৯০ সালের তিন জোটের রূপরেখা ভেঙে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছিল পতিত সরকার। তারপর যে নির্বাচন করেছে, তা শেষ পর্যন্ত তাদের নির্লজ্জভাবে বিদায় নিতে বাধ্য করেছে।

এখন প্রশ্ন হলো, বর্তমানে কি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অনুকূল পরিস্থিতি আদৌ আছে? জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে ৪৫ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রহরার ব্যবস্থা করতে রাষ্ট্র সক্ষম কি না? গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে মানসিক অবস্থা, তাতে নির্বাচনের মতো একটি মহাযজ্ঞ সামাল দেওয়া তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তার মানে কি নির্বাচন হবে না? অবশ্যই হতে হবে; বরং একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও পুলিশ বাহিনীর বর্তমান সক্ষমতা বিবেচনায় না এনে নির্বাচন আয়োজন হবে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাতে জনগণের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাবে। আর তা হলে সাধারণ জনগণের ভোটদান থেকে বিরত থাকার আশঙ্কা থেকে যাবে। এ অবস্থা কারোই কাম্য হতে পারে না। সে পরিস্থিতি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেই সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে কোনো ব্যতিক্রম হলে এর দায়ভার কে নেবে? তা নিতে হবে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকেই। জনগণও এ পরিস্থিতি মনে রাখবে এবং সময়-সুযোগ এলে জবাবও দেবে। ১৯৯০ সালে সামরিক সরকার এরশাদের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র’ উত্তরণের কালপর্ব হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিরপেক্ষ কোনো সরকারের অধীন ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

আরও পড়ুনপরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো কতটা প্রস্তুত১১ জুন ২০২৫

একটি গণজাগরণের পর যে নির্বাচন, তার ফলাফল অনেক সময় চমকপ্রদ হতে পারে, যেমন ১৯৯১ সালের নির্বাচন। সেই সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিএনপি বড়জোর ১০টি আসন পেতে পারে। কিন্তু ফলাফল হলো, বিএনপি ১৪০টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করল। এর পেছনে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল।

আশির দশকে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী, তাঁর নেতৃত্ব ছিল আপসহীন ও বলিষ্ঠ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোয় ছাত্রদলের তখন ছিল হিরোইক ইমেজ। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের দেশপ্রেম, সততা ইত্যাদি জনমনে একটি স্থায়ী প্রভাব তত দিনে দৃঢ় হয়েছে।

১৯৭২-৭৫ সময়ে আওয়ামী লীগের রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা ও অরাজকতা মানুষ ভোলেনি। নির্বাচনে তা প্রভাব রেখেছিল। আবার উল্টো দিকে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব পর্যায়ে অবাস্তব ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাদের মধ্যে শৈথিল্য এনেছিল। আর সক্রিয় কর্মীর উপস্থিতি মানেই যে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা না-ও হতে পারে।

জনমনে এ ধারণা প্রবল যে বিএনপি আওয়ামী লীগের ব্যাপারে নমনীয়। আর একই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা আছে, যা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে সামনের নির্বাচন মানেই বিএনপির জয়, বিষয়টি এত সরল না-ও হতে পারে।

১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগের দিনও কেউ কল্পনা করেননি যে শেখ হাসিনা ঢাকা-১০ (রমনা-তেজগাঁও) আসনে মেজর মান্নানের কাছে এবং ঢাকা-৭ (কোতোয়ালি-সূত্রাপুর) আসনে সাদেক হোসেন খোকার কাছে পরাজিত হবেন। কিন্তু জনগণ তাঁদের নীরব রায় দিয়েছেন। আপাতদৃষ্টে দৃশ্যমান অধিকতর আওয়ামী লীগের সমর্থক থাকার পরও হয়েছে নীরব ভোটবিপ্লব।

২০০১ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত দেশে কোনো নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন হয়নি। ভোটাররাও তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। ২০০১ সালে যাঁদের বয়স ছিল ১৮ বছর, তাঁদের বয়স আজ ৪৩ বছর। ২০২৫ সালে কনিষ্ঠ ভোটারদের জন্মবর্ষ ছিল ২০০৭ সাল। এর মানে হচ্ছে ১৮ থেকে ৪৩ (জন্মবছর বয়স পর্যন্ত) যাঁদের বয়স, তাঁরা প্রথমবারের মতো একটি অবাধ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।

১৯৮৩ থেকে ২০০৭ সাল, এই সময়ে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের ভোট সরল সমীকরণে বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ভাগাভাগি করলে তা তাত্ত্বিকভাবে ঠিক হবে, কিন্তু বাস্তবে এর চিত্র ভিন্ন হতে পারে।

১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৬৪ শতাংশের বেশি। সুষ্ঠু ভোট হলে এই ৬৪ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি ও তুলনামূলক বেশি হবে। ৪৩ বছরের বেশি বয়স্ক ভোটারের সংখ্যা মাত্র ৩৫ শতাংশ। তাঁরা অনেকটা স্থায়ী মতাদর্শের মানুষ। কিন্তু নির্বাচনে কারা জিতে আসবেন, তা নির্ভর করবে ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সী ভোটারদের ওপর। এসব ভোটার আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের চিত্র সরাসরি দেখেছেন। অধিকন্তু আওয়ামী লীগের দলীয় রেজিস্ট্রেশন স্থগিত। তার মানে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত।

একই সঙ্গে বিএনপির জন্যও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে বিএনপি রাজনীতির মাঠে কার্যকরভাবে সক্রিয় থাকতে পারেনি। শিক্ষাঙ্গনের ক্যাম্পাসে ছাত্রদল অনুপস্থিতি রয়েছে অনেক দিন ধরে। দলের চেয়ারপারসনের দীর্ঘ কারাবাস থেকে দল তাঁকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। ভাইস চেয়ারম্যান বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে দেশের বাইরে ছিলেন, এখনো দেশে ফেরেননি। তৃণমূল পর্যায়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও নিজেদের মধ্যে হানাহানি এখনো সামলানো যায়নি। দেশজুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখলদারির অভিযোগ এখন ব্যাপক আলোচিত।

জনমনে এ ধারণা প্রবল যে বিএনপি আওয়ামী লীগের ব্যাপারে নমনীয়। আর একই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা আছে, যা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এসব চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে মোকাবিলা করতে না পারলে সামনের নির্বাচন মানেই বিএনপির জয়, বিষয়টি এত সরল না-ও হতে পারে।

তবে সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাচনের আগেই যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে নির্বাচনের পর আবার সেই পারস্পরিক দোষারোপ তথা সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ চলতেই থাকবে।

মহসীন আহমেদ লেখক

[email protected]

*মতামত লেখকের নিজস্ব

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ৪৩ বছর র জন ত আওয় ম র বয়স সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

অনশনের পর ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পেলেন ছয় সমন্বয়ক

নিরাপত্তার অজুহাতে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির ছয়জন সমন্বয়ককে। আটক থাকার এক পর্যায়ে তাঁরা অনশন শুরু করেন। ৩২ ঘণ্টা অনশনের পর ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) দুপুরে ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে কালো রঙের দুটি গাড়িতে করে যাঁর যাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও আবু বাকের মজুমদারকে ছয় দিন; সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে পাঁচ দিন এবং নুসরাত তাবাসসুমকে চার দিন ডিবি কার্যালয়ে তখন আটক রাখা হয়েছিল। এই ছয় সমন্বয়কের মধ্যে নাহিদ এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক। আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা। সারজিস, হাসনাত ও নুসরাত এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আবু বাকের এখন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক।

ডিবি কার্যালয় থেকে ছাড়া পাওয়ার সেই ঘটনা সম্পর্কে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার বোনের বাসার লোকেশন (ঠিকানা) দিয়েছিলাম ডিবিকে। ১ আগস্ট (২০২৪ সাল) ডিবি তাদের তত্ত্বাবধানেই আমাদের ছয়জনকে যার যার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। বোনের বাসায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পর আমি প্রথমে আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানিকনগরের একটা জায়গায় দেখা করি। আমরা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করি। কীভাবে এক দফার (সরকার পতনের) ঘোষণায় যাওয়া যায়, সে বিষয়েও সেদিন আমরা চিন্তা করি।’

সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচির আওতায় গণসংগীত, পথনাটক, দেয়াললিখন, স্মৃতিচারণা ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয় রাজধানী ঢাকাসহ অন্তত ১৬টি জেলা ও মহানগরে। এসব কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কিছু জায়গায় শিক্ষক ও আইনজীবীরা অংশ নেন। তবে কোথাও কোথাও কর্মসূচিতে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। অনেক জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়।

প্রতিবাদ, বিক্ষোভ

সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উদ্যোগে পৃথক সমাবেশ-মানববন্ধন ও মিছিল করা হয়। পাশাপাশি সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্র-জনতা।

‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারের কঠোর দমনপ্রক্রিয়া ও গুলিতে ছাত্র-জনতা হত্যা’র প্রতিবাদে ১ আগস্ট বেলা ১১টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদের সামনে সমাবেশের কর্মসূচি ছিল শিল্পী ও কলাকুশলীদের। ‘দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে তাঁরা প্রথমে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–সংলগ্ন ইন্দিরা রোডের প্রান্তে সমবেত হন। সেদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিল্পীরা ব্যানার-পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

পরে শিল্পীরা ইন্দিরা রোড দিয়ে শোভাযাত্রা করে ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের কাছে সমবেত হন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা সেখানে সড়কের পাশে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ছাত্র-জনতার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, যে বর্বর পন্থায় শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমন করা হচ্ছে, তা কোনো গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে ঘটতে পারে না।

দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পীদের সমাবেশ থেকে সেদিন শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বিচার, গণগ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানি বন্ধের দাবি করা হয়। সমাবেশ থেকে আরও জানানো হয়, শিল্পীরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।

সেদিন বিকেলে ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’–এর ব্যানারে মানববন্ধন করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মানববন্ধনে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছিলেন, গুলি করে শিশুসহ নির্বিচার মানুষ হত্যার তদন্ত জাতিসংঘের অধীনে করতে হবে।

সেই মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল (এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা) বলেন, হত্যার বিচার করতে হবে। হুকুমদাতাদেরও বিচার করতে হবে।

কূটনীতিকদের ‘ব্রিফ’

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করে ১ আগস্ট বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেদিন বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করা হয়। সেই ব্রিফিংয়ে বিদেশি কূটনীতিকেরা সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ