পদ্মা নদীর দুই পাঙাশ ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি
Published: 13th, June 2025 GMT
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা নদীর দুটি পাঙাশ মাছ প্রায় ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এগুলোর একটির ওজন প্রায় ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম এবং অন্যটির ওজন ছিল প্রায় ১২ কেজি ৬০০ গ্রাম। আজ শুক্রবার দুপুরে এসব মাছ নিলামে কিনে অন্যত্র বিক্রি করেন মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।
স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, আজ দুপুরে উপজেলার কুশাহাটা এলাকার পদ্মা নদীতে ২১ কেজির বেশি ওজনের পাঙাশটি পান এক জেলে। পরে এটিকে বিক্রির জন্য বেলা দেড়টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নেওয়া হয়। এ সময় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল মণ্ডলের আড়তে মাছটির নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
মাছটির ক্রেতা চান্দু মোল্লা বলেন, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩৪ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেন। পরে প্রতি কেজি ৫০ টাকা করে লাভে ১ হাজার ৬৫০ টাকা দরে মোট ৩৫ হাজার ৪৭৫ টাকায় রাজধানীর এক ব্যবসায়ীর কাছে মাছটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।
চান্দু আরও বলেন, এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীর প্রায় ১২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের আরেকটি পাঙাশ মাছ কেনেন তিনি। এটি ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ১৭ হাজার ৬০০ টাকায় কেনেন। পরে দুপুরে ওই পাঙাশ কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে লাভে মোট ১৮ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এই মাছও স্থানীয় এক জেলের জালে পদ্মা নদীতে ধরা পড়ে।
জেলেরা জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝেমধ্যে বড় বা মাঝারি আকারের মাছ ধরা পড়ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হামলা হলে ইরানের পরিণতি শোচনীয় হবে: মার্কিন কর্মকর্তা
ইরানকে হুঁশিয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ম্যাকয় পিট বলেছেন, তেহরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, ঘাঁটি কিংবা অবকাঠামোর ওপর হামলা চালায়, তবে তাদের পরিণতি শোচনীয় হবে। যুক্তরাষ্ট্র এখনো মনে করে, ইরানের একটি চুক্তি করা উচিত। তারা একটি কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজবে। আলোচনায় বসাটা এ মুহূর্তে ইরানের নেতৃত্বের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ম্যাকয় পিট এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। নিরাপত্তা পরিষদে পিট বলেন, ‘হামলার আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছিল। তবে এসব হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল না। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিক, কর্মী ও সেনাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের জায়গা।’
ইরানে হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ব্যাপারে জানিয়েছিল ইসরায়েল। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিল যে, আত্মরক্ষার্থে এ হামলা অপরিহার্য।
এদিকে ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি এও উল্লেখ করেছেন যে তিনি ইরানকে "একের পর এক সুযোগ" দিয়েছেন। রোববার ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে চুক্তি বিষয়ক ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই আলোচনার আগেই এই মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘আমি তাদের শক্ত ভাষায় বলেছি যে এটি করো, কিন্তু তারা করেনি। ইতোমধ্যে অনেক প্রাণহানি ও ধ্বংস সাধিত হয়েছে। কিন্তু এই রক্তপাত বন্ধ করার এখনও সময় আছে। কারণ এর পরের হামলাগুলো আরও ভয়াবহ হতে যাচ্ছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘সব শেষ হয়ে যাওয়ার আগে ইরানকে অবশ্যই চুক্তিতে আসতে হবে। যেটিকে একসময় পারস্য সাম্রাজ্য বলা হতো, সেটিকে রক্ষা করো। আর কোনও মৃত্যু নয়, আর কোনও ধ্বংস নয়, এটি করো, নইলে অনেক দেরি হয়ে যাবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ইরানে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, এই হামলার পরিকল্পনার কথা তিনি আগে থেকেই জানতেন। তবে তিনি এটি স্পষ্ট করেছেন যে, এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী কোনোভাবেই অংশ নেয়নি।