রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে পদ্মা নদীর দুটি পাঙাশ মাছ প্রায় ৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এগুলোর একটির ওজন প্রায় ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম এবং অন্যটির ওজন ছিল প্রায় ১২ কেজি ৬০০ গ্রাম। আজ শুক্রবার দুপুরে এসব মাছ নিলামে কিনে অন্যত্র বিক্রি করেন মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।

স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, আজ দুপুরে উপজেলার কুশাহাটা এলাকার পদ্মা নদীতে ২১ কেজির বেশি ওজনের পাঙাশটি পান এক জেলে। পরে এটিকে বিক্রির জন্য বেলা দেড়টার দিকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নেওয়া হয়। এ সময় মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল মণ্ডলের আড়তে মাছটির নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।

মাছটির ক্রেতা চান্দু মোল্লা বলেন, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩৪ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেন। পরে প্রতি কেজি ৫০ টাকা করে লাভে ১ হাজার ৬৫০ টাকা দরে মোট ৩৫ হাজার ৪৭৫ টাকায় রাজধানীর এক ব্যবসায়ীর কাছে মাছটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।

চান্দু আরও বলেন, এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীর প্রায় ১২ কেজি ৬০০ গ্রাম ওজনের আরেকটি পাঙাশ মাছ কেনেন তিনি। এটি ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি দরে ১৭ হাজার ৬০০ টাকায় কেনেন। পরে দুপুরে ওই পাঙাশ কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে লাভে মোট ১৮ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এই মাছও স্থানীয় এক জেলের জালে পদ্মা নদীতে ধরা পড়ে।

জেলেরা জানান, বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝেমধ্যে বড় বা মাঝারি আকারের মাছ ধরা পড়ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু

নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।

গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ