দৌলতদিয়া ঘাটে বেড়েছে ঢাকাগামী যাত্রীর চাপ
Published: 13th, June 2025 GMT
স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শুক্রবার দুপুর থেকে কর্মস্থল ফেরা মানুষের চাপ শুরু হয় দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে। সময় বাড়ার সাথে সাথে বিকেল নাগাদ যাত্রীদের ঢল নামে দৌলতদিয়া ঘাটে। মানুষের বাড়তি চাপ থাকলেও নেই কোনো ভোগান্তি।
শুক্রবার বিকেলে ফেরি ও লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী হয়রানি বন্ধে ঘাট এলাকায় কাজ করছে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ঢাকাগামী যাত্রী মেহেদী হাসান বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তি নেই বললেই চলে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠে যেতে পাড়ছে।
ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সুপারভাইজার মো.
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মিলন মিয়া বলেন, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ সামাল দিতে এই নৌরুটে মোট ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। কোনো লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বা বাড়তি ভাড়া নেওয়া না হয়; সেজন্য জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তদারকি করছেন।
বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। নদীর দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ঘাট সচল আছে। ছুটি শেষের দিক হওয়ায় যাত্রীর চাপও বেড়েছে। তবে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়া যাত্রী-সাধারণকে পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস, অবাধে হামলার ঘোষণা ইসরায়ে
ইসরায়েল গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইরানও।
ইসরায়েল তেহরানে হামলা চালিয়ে একাধিক বিমানঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির এবং ইসরায়েলি বিমান বাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল টমার বার আজ শনিবার সকালে প্রকাশিত এক মূল্যায়নে বলেছেন, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের মাধ্যমে ‘তেহরানে হামলার পথ প্রশস্ত করা হয়েছে।’
আরো পড়ুন:
দূরদেশে তারকাদের ঈদ
মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, “পরিকল্পনা অনুসারে, বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো এবার তেহরানের লক্ষ্যবস্তুতে বড় হামলা চালানো শুরু করবে।”
গতকাল রাতে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছিল আইডিএফ। এরপর দেশটির সামারিক বাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন এই বিবৃতি এলো।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করায় দেশটির রাজধানীতে বিমান হামলার স্বাধীনতা এখন আরো বেশি।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস পরিচালিত ফারস সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ইসরায়েলের দুটি প্রজেক্টাইল তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে। ইরানি সংবাদ সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, বিমানবন্দরে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থাপনাগুলোর কাছাকাছি অবস্থিত এই বিমানবন্দরটিতে যুদ্ধবিমান ও পরিবহন বিমানসহ একটি বিমান ঘাঁটি রয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় বিমানঘাঁটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি দাবি করেছে ইরান।
ঢাকা/ফিরোজ