স্মার্টফোন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এখন। কিন্তু চার্জ হচ্ছে স্মার্ট জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। স্মার্টফোন নির্মাতাই প্রচণ্ড গরম বা ঠান্ডায় হ্যান্ডসেট বুঝে তা ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়ায় ব্যাটারি ধীর গতির হতে পারে।

অপ্টিমাইজেশন কেন প্রয়োজন
স্মার্টফোনের ভেতরেই থাকা এ ফিচার দিয়ে কোন অ্যাপ কতটা ব্যাটারি ব্যবহার করবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আবার কোন কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে, তা নির্ধারণ করে নিতে পারেন। আর এমন ফিচার অ্যানাবল করার জন্য প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংস অপশনে গিয়ে ব্যাটারি অপ্টিমাইজেশন নির্বাচন করে নেবেন। উল্লিখিত অপশনটি অ্যানাবল করলে মিলবে সমাধান।

ডিসচার্জ যখন জরুরি
হ্যান্ডসেটের ব্যাটারি কখনই শূন্য শতাংশে নিয়ে যেতে নেই। অন্যদিকে, শতভাগ চার্জ হওয়ার আগেই ডিসচার্জ করে শ্রেয়। ফলে দীর্ঘমেয়াদে ব্যাটারি লাইফের ক্ষতি হতে পারে। ডিভাইসে ২৫ শতাংশ চার্জ থাকলেই ডিভাইস চার্জ দেওয়া উচিত। সব ডিভাইসের জন্য ৯০ শতাংশ চার্জই থাকলে সব ধরনের পরিষেবা পাওয়া সম্ভব।

স্মার্টফোন চার্জের সময় মোবাইল কেস ব্যবহার করলে ফোন অতিরিক্ত গরম হতে পারে। ফলে কমে যেতে পারে ব্যাটারি লাইফ। আর এমন কারণেই চার্জের সময় স্মার্টফোনের কেসটি খুলে রাখার অভ্যাস করা যেতে পারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গরম

এছাড়াও পড়ুন:

রাজউক সার্ভারে ঢুকে নকশা অনুমোদন, গ্রেপ্তার ৩

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইসিপিএস সার্ভার হ্যাক করে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে নকশা অনুমোদনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ মে নকশা অনুমোদন-সক্রান্ত ইসিপিএস সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে মাত্র ১৭ মিনিটে একটি ভবনের অনুমোদন পাশের ঘটনাটি নজরে আসে রাজউক কর্তৃপক্ষের। 
জলাভূমি ও হাইট রেস্ট্রিকশন থাকা ভূমিতে ১৫ তলাবিশিষ্ট ১৮৫ ইউনিটের এই সুউচ্চ ভবনটির নকশা সব বিধিকে পাশ কাটিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পাস করিয়ে নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি জানতে পেরে প্রাথমিক তদন্তে একই উপায়ে আরও তিনটি ভবনের নকশা অনুমোদন শেষ পর্যায়ে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় পায়। তৎক্ষণাৎ সার্ভারটি বন্ধ করে মতিঝিল থানায় সেদিনই একটি জিডি করা হয়।

পাস করা নকশার সূত্র ধরে রাবেয়া বারী নামক এক প্রকৌশলীর সন্ধান পায় রাজউক, যার স্বাক্ষর নকশাগুলোতে পাওয়া যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মতিঝিলের নীলনকশা নামের একটি কম্পিউটারের দোকান ও সেখানকার এক কর্মচারী স্বপনের নাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে গত ২২ মে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় মতিঝিলের নীলনকশা নামক দোকানটিতে। দোকানটির সঙ্গে অননুমোদিত নকশা অনুমোদনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দোকানটির মালিক এনামুলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে রাজউকের নির্ধারিত ফি পরিশোধের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এ ছাড়াও দোকানের কয়েকটি কম্পিউটারে ওই অবৈধ ভবনগুলোর নকশা পাওয়া যায়। এতে দোকানের মালিক এনামুল ও কর্মচারী স্বপনের সম্পৃক্ততা প্রতীয়মান হয়। মোবাইল কোর্ট চলাকালে তাদের কাউকেই না পাওয়া যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মচারীদের পুলিশের আওতায় নেওয়া হয়।

রাজউকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এমন সংবেদনশীল বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং তাঁর নির্দেশনায় ৬ জুন রাজউক বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ধারাসহ দণ্ডবিধির ধারায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করেন। 

তিনি বলেন, মামলার এজাহারনামীয় ২১ নম্বর আসামি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ‘নীলাভ নকশাঘর’ এর মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ এজাহারনামীয় ২২ ও ২৩ নম্বর আসামি সজীব ও মুকুলকে পুলিশ মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ