বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শাহীন
Published: 21st, June 2025 GMT
পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম (বিএসএফ) এর সাধারণ সভা শনিবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় আগামী এক বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে রাইজিংবিডি ডট কমের বরিশাল সংবাদদাতা নিকুঞ্জ বালা পলাশকে সভাপতি ও বাংলা ভিশন-এর শাহীন হাসানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি দৈনিক সমকালের ব্যুরো প্রধান সুমন চৌধুরী নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
মাহামুদুল হকের মুক্তি দাবি রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের
সাংবাদিক মামুন রেজার মৃত্যুতে বিপিসির শোক
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি এম জহির (সকালের সময়), সহ সাধারণ সম্পাদক মো.
এর আগে সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র সাংবাদিক জাকির হোসেন, কে এম এনায়েত হোসেন, আজকের পত্রিকার খান রফিক, কালের কণ্ঠের এম সুহাদ, সময় টিভির অপূর্ব অপু, সময় বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এম লোকমান হোসেন, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার আরিফুর রহমান, দৈনিক মানবকণ্ঠের ফাহিম ফিরোজ এবং আর টিভির আরিফুল ইসলাম।
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি
পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।
মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।
মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।
ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।