পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন বরিশাল সাংবাদিক ফোরাম (বিএসএফ) এর সাধারণ সভা শনিবার (২১ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় আগামী এক বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কমিটিতে রাইজিংবিডি ডট কমের বরিশাল সংবাদদাতা নিকুঞ্জ বালা পলাশকে সভাপতি ও বাংলা ভিশন-এর শাহীন হাসানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সংগঠনের বিদায়ী সভাপতি দৈনিক সমকালের ব্যুরো প্রধান সুমন চৌধুরী নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

মাহামুদুল হকের মুক্তি দাবি রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের

সাংবাদিক মামুন রেজার মৃত্যুতে বিপিসির শোক

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি এম জহির (সকালের সময়), সহ সাধারণ সম্পাদক মো.

সালাউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মর্তুজা জুয়েল (দিপ্ত টিভি), দপ্তর সম্পাদক খোকন আহম্মেদ হীরা (জনকণ্ঠ), প্রচার সম্পাদক আরিফ হোসেন (বিজয় টিভি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ পান্থ (চ্যানেল আই), সদস্য সুমন চৌধুরী (সমকাল), এম মিরাজ হোসাইন (বনিক বার্তা), আযাদ আলাউদ্দিন (নয়াদিগন্ত), সুখেন্দু এদবর (একুশে টেলিভশন), নাসির উদ্দিন (যুগান্তর)।

এর আগে সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র সাংবাদিক জাকির হোসেন, কে এম এনায়েত হোসেন, আজকের পত্রিকার খান রফিক, কালের কণ্ঠের এম সুহাদ, সময় টিভির অপূর্ব অপু, সময় বার্তা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এম লোকমান হোসেন, দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার আরিফুর রহমান, দৈনিক মানবকণ্ঠের ফাহিম ফিরোজ এবং আর টিভির আরিফুল ইসলাম। 

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ