ডেনমার্ক পড়াশোনার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে একটি পছন্দের দেশ। এখানে উচ্চমানের শিক্ষা, উদ্ভাবনী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশে কাজের সুযোগ রয়েছে। খণ্ডকালীন চাকরি এবং স্কলারশিপের সুযোগও এখানে বিদ্যমান।
ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা-ভিত্তিক এবং আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতিতে জোর দেয়।
ইংরেজি ভাষার প্রোগ্রাম: এখানে অনেকগুলো ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইংরেজিতে পড়ানো হয়, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধাজনক।
ভিসা ও বসবাসের অনুমতি: পড়াশোনার জন্য ডেনমার্কে যেতে শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট ভিসা এবং রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করতে হয়। এর জন্য সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির অফার লেটার, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ এবং স্বাস্থ্য বীমার প্রয়োজন হয়।
স্কলারশিপের সুবিধা : ডেনমার্কের ব্যয়বহুল উচ্চশিক্ষার খরচ চালানোর জন্য সেরা উপায় হচ্ছে স্কলারশিপ। ডেনমার্ক তার বিদেশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো স্কলারশিপের ব্যবস্থা রেখেছে। স্থানীয় শিক্ষার্থী ও স্কলারদের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার মাধ্যমে এই স্কলারশিপগুলোতে সহজেই আবেদন করা যেতে পারে। সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কলারশিপ প্রকল্পগুলোর মধ্যে ইরাসমাস মুন্ডাস/জয়েন্ট মাস্টার ডিগ্রি এবং ডেনিশ সরকারি বৃত্তি অন্যতম। ডেনমার্কের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই নিজস্ব কিছু স্কলারশিপ অফার করে। এগুলো সাধারণত টিউশন ফিতে ছাড় বা নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ: কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়, আরহাস বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ডেনমার্ক , আলবর্গ বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ডেনমার্ক বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: স্কলারশিপের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা প্রতিটি স্কলারশিপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন হয়।
আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কলারশিপ প্রদানকারী সংস্থার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। সাধারণত স্কলারশিপের জন্য শক্তিশালী একাডেমিক রেকর্ড, ভালো ইংরেজি ভাষার দক্ষতা (IELTS/TOEFL স্কোর) এবং একটি বিস্তারিত মোটিভেশন লেটার বা স্টাডি প্ল্যান প্রয়োজন হয়।
ডেনমার্কে পড়াশোনা এবং কাজের সুযোগ উভয়ই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা দিতে পারে, তবে এর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া এবং সময়মতো আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ।
খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ : ডেনমার্কে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে, যা তাদের জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে সাহায্য করে।
কাজের সময়সীমা: নন-ইইউ/ইইএ (Non-EU/EEA) শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারে। জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসে তারা পূর্ণকালীন কাজ করার অনুমতি পায়।
কাজের ধরন: শিক্ষার্থীদের জন্য সাধারণত রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, খুচরা দোকান, কাস্টমার সার্ভিস, ডেলিভারি বা ছোটখাটো অফিসের কাজ পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে, তাদের পড়াশোনার সঙ্গে সম্পর্কিত ইন্টার্নশিপ বা পার্ট-টাইম কাজও পাওয়া যেতে পারে।
ন্যূনতম মজুরি: ডেনমার্কে কোনো নির্দিষ্ট ন্যূনতম মজুরি আইন নেই। তবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি ঘণ্টা আয় প্রায় ১১০-১৫০ ডেনিশ ক্রোন হতে পারে।
ভাষা: ডেনিশ ভাষা জানা খণ্ডকালীন চাকরি খুঁজে পেতে অনেক সহায়ক হয়, বিশেষ করে কাস্টমার সার্ভিস বা স্থানীয় ব্যবসার ক্ষেত্রে। তবে, অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে বা নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ইংরেজি জানলেই কাজ পাওয়া সম্ভব।
খোঁজার উপায়: অনলাইনে বিভিন্ন জব পোর্টাল (যেমন Jobnet.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ক ষ র থ দ র জন য র জন য স স ধ রণত
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় মজুদকৃত ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ, জরিমানা
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে সার মজুদ ও ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিক্রি না করার দায়ে দুই খুচরা বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চুকনগর বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।
ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে মজুদ করা বিভিন্ন ধরনের ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চুকনগর বাজারের যতিন কাশেম রোডের বাদামতলা মোড় এলাকায় মেসার্স জালাল ট্রেডার্সে অবৈধভাবে সার মজুদ রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহিদুল ইসলাম মোড়লকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তার দোকান থেকে ২৮০ বস্তা ইউরিয়া, ৪৬ বস্তা টিএসপি, ২০ বস্তা ডিএপি ও ২৯ বস্তা এমওপি মজুদকৃত সার জব্দ করা হয়।
আরো পড়ুন:
শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনের কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে টিকটক, যুবকের কারাদণ্ড
এছাড়া কৃষকের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করা ও স্টক রেজিস্ট্রার ব্যবহার না করায় মালতিলা এলাকায় মেসার্স সুকর্ণ ট্রেডার্সের মালিক সুকর্ণ কুমার ঘোষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী জানান, সার মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় সার ব্যবস্থাপনা আইনে জাহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৭৫ বস্তা বিভিন্ন মজুদ করা সার জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করার অপরাধে ব্যবসায়ী সুকর্ণ কুমারকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী কমিশনার। তিনি জানান, জব্দকৃত সার চুকনগর বাজার কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
অভিযানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন, আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, চুকনগর বাজার কমিটির সভাপতি শাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল