ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে ওসি পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল
Published: 23rd, June 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের ওসি ও পরিদর্শক পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। একযোগে পাঁচ থানার ওসিসহ আট ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। রোববার রাতে পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বদলির এই আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার বিষয়টি জানানো হয়।
ওই আদেশে আশুগঞ্জ থানার ওসি বিল্লাল হোসেনকে পুলিশ পরির্দশক সদর কোর্ট, সরাইল থানা ওসি রফিকুল ইসলামকে পুলিশ পরির্দশক সদর কোর্ট, নবীনগর থানা ওসি আব্দুর রাজ্জাককে পুলিশ পরিদর্শক (ডিএসবি) বদলি করা হয়েছে।
অপরদিকে নাসিরনগর থানার ওসি খাইরুল আলমকে আশুগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে। আর নাসিরনগর থানার ওসি হিসেবে জেলা পুলিশ লাইন্সে লাইনওয়ার থাকা মুহাম্মদ আজাহারুল ইসলামকে পদায়ন করা হয়েছে। সরাইল থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মোরশেদুল আলম চৌধুরীকে।
নবীনগর থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনূর ইসলামকে। বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খানকে।
জেলার পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতা খুনের নেপথ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর বরিশালের বাবুগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানে খুন হওয়া ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলামের (৩০) মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে তিনি খুন হন।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর বিদ্যালয়ের সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। নিহত রবিউল জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি আগরপুর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মিজানুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল সোমবার শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়কে স্বাগত জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পক্ষ গতকাল সন্ধ্যায় মিষ্টি বিতরণ করছিল। তখন ছাত্রদলের আরেক পক্ষের কয়েকজন এসে তাঁদের না জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করার বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আটজন আহত হন। এ সময় রবিউল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা ছাত্রদলের একটি সূত্র জানায়, মাস তিনেক আগে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। মাসখানেক পর সেই কমিটি স্থগিত করে জেলা ছাত্রদল। এর পর থেকেই ইউনিয়নে ছাত্রদলের দুটি পক্ষ আলাদা আলাদা কর্মসূচি করে আসছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এক পক্ষে ছিলেন নিহত সহসভাপতি রবিউল ইসলাম এবং অপর পক্ষে ছিলেন স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাবিদ হাসান, আগরপুর কলেজের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এমদাদুল হকসহ অন্যরা। মূলত তাঁরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দ্বন্দ্বে জড়ান।
উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিক আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা চাই, এই ঘটনায় যাঁরা প্রকৃত দোষী, তাঁদের আইনের আওতায় আনা হোক। নির্দোষ কোনো ব্যক্তিকে যাতে হয়রানি করা না হয়।’ তিনি স্বীকার করেন, ইউনিয়নে ছাত্রদলের দুটি পক্ষ আলাদা আলাদা কর্মসূচি করছিল। মূলত নেতৃত্ব ও আধিপত্যের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুনবরিশালে মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত১৭ নভেম্বর ২০২৫বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান আহমেদ খান সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অনাহূত কাউকে হয়রানি করার জন্য মামলায় না জড়ানোর পক্ষে। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য সবকিছু যাচাই করে যাঁরা জড়িত, তাঁদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ জন্য সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করতে প্রস্তুত।’
বাবুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পলাশ সরকার বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। তবে পরিবার মামলা করবে বলে বলে জানিয়েছে।