বড়লেখায় ১২ রোহিঙ্গাসহ ১৬ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
Published: 23rd, June 2025 GMT
মৌলভীবাজারের বড়লেখার কুমারসাইল সীমান্ত দিয়ে ১২ রোহিঙ্গাসহ অন্তত ১৬ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সোমবার ভোরে সীমান্তের জিরো লাইনে এনে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে দিকে ঠেলে দেয়। সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিজিবি তাদের আটক করে। এ নিয়ে গত দুই মাসে বড়লেখা সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বিএসএফ প্রায় চার শতাধিক অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে।
উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ জানান, সকালে কুমারসাইল গ্রামের লোকজন ওই এলাকায় কয়েকজন নারী-পুরুষ ও শিশুকে ক্লান্ত ও বিপর্যস্ত অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখেন। তাদের কথা শুনে কয়েকজনকে রোহিঙ্গা বলে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। পরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে লাতু ক্যাম্পে নিয়ে যায়। শুনেছি বিজিবি তাদের পুলিশের হস্তান্তর করবে।
এ বিষয়ে ৫২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, বিজিবি আটককৃতদের এখনো থানায় হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তর করা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার পরমেশ্বরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৪ যুবককে আটক করেছে বিজিবি। রোববার রাত সাড়ে ৩টায় বোচাগঞ্জ উপজেলার পরশ্বেরপুর বিওপির সীমান্তের ৩৩১ মেইন পিলারের ৮ সাব পিলারের ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তর চালান দিঘীরপাড় থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে বোচাগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বাংলাদেশি। সোমবার দিনাজপুর-৪২ বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- বোচাগঞ্জ উপজেলার নারইল গ্রামের জুবিয়ার ইসলাম, বেলবাস গ্রামের অতীন চন্দ্র রায়, বিরল উপজেলার বনগ্রামের মোনাই দীপক চন্দ্র রায় ও ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, তারা কাজের সন্ধানে ৩ থেকে ৪ মাস আগে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ বড়ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনে অস্ত্রসহ আসাবুর বাহিনীর ২ সহযোগী আটক
সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বনদস্যু আসাবুর বাহিনীর দুই সহযোগীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন, মোংলা।
আটককৃতদের সংরক্ষণে থাকা ৩টি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৫ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- মো. বাদশা গাজী (৪৫) ও মেহেদী হাসান (২৭)। তারা খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার বাসিন্দা।
কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সুন্দরবনের দস্যু আসাবুর বাহিনীর সদস্যরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে সুন্দরবনের শিবসা নদী সংলগ্ন শরবতখালী এলাকায় গমন করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা পালানোর চেষ্টা করে। তখন কোস্টগার্ড সদস্যরা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরবর্তীতে ওই এলাকা তল্লাশি করে ৩টি একনলা বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৫ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ এবং অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদিসহ সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত আসাবুর বাহিনীর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।”
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটক ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত ডাকাত আসাবুর বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতি এবং ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করে আসছিল। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/শহিদুল/এস