ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের ভ্যানচালক রবিউল ইসলাম ওরফে রবে হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খালাস পেয়েছেন সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খুরশীদ আলম মিয়াসহ ১১ জন।

সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক উৎপল কুমার ভট্টাচার্য এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সব আসামি আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।

নিহত রবিউল ইসলাম ওরফে রবে বিষয়খালী গ্রামের মৃত ইনছার আলী শেখের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, চারজনের যাবজ্জীবন

ভিক্ষা না ছাড়ায় বাবাকে হত্যা, ছেলে আটক

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বিষয়খালী গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মাজেদুল ইসলাম ওরফে মাজু, আশরাফের ছেলে রসুল, মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুল এবং মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে গোলাম রসুল। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম ওরফে রবে হত্যার ঘটনায় ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৪ সালে আগস্ট মাসের ৩ তারিখে এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য হয়। তবে, সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তীতে অন্তত চারটি নির্ধারিত দিনেও রায় ঘোষণা হয়নি। আজ সোমবার বিকেলে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত রবিউল ইসলাম ওরফে রবের স্ত্রীর সঙ্গে আসামি গোলাম রসুলের অনৈতিক সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়। পরে গ্রাম্য সালিশে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় গোলাম রসুলকে। গোলাম রসুল ও মামলার অন্যান্য আসামিরা তৎকালীন ইউপি মেম্বার খুরশীদ আলমের পক্ষের লোক ছিলেন। সালিশের জেরে ২০০৬ সালের ১০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে রবিউল ইসলাম ওরফে রবেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামি আজিজুলসহ অন্যরা। 

সেদিন থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। প্রায় তিন মাস পর ওই বছরের এপ্রিল মাসের ৪ তারিখে পার্শ্ববর্তী হুমোদার বিলের একটি খালের দক্ষিণ পাড় থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রবিউল ইসলাম ওরফে রবের মরদেহ। পরে নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন তার লাশ শনাক্ত করেন। সেদিন ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন তিনি।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম ল ইসল ম ওরফ গ ল ম রস ল ন হত র

এছাড়াও পড়ুন:

হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বললেন আব্বাস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধরত স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও তার মিত্রদের অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। 

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক সম্মেলনে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল ফ্রান্সসহ আরো ৬ দেশ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি: প্রতিশোধ না নিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাজ্য

ফ্রান্স ও সৌদি আরবের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্য উপস্থিত ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সম্মেলনে বয়কট করেছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাহমুদ আব্বাসেরও সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভিসা প্রদান না করায় তিনি যেতে পারেননি। তাই নিজ বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড করে তা সম্মেলনে পাঠান তিনি।

আব্বাস বলেন, “হামাস এবং তার মিত্রদের অবশ্যই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। আমরা চাই একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র- যেখানে সাধারণ নাগরিকদের কাছে কোনো অস্ত্র থাকবে না, রাষ্ট্র চলবে এক আইনের অধীনে এবং থাকবে একটি বৈধ নিরাপত্তা বাহিনী।”

তিনি আরো জানান, “গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। সেই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হবে প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচন আয়োজন করা। শাসনব্যবস্থায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না। হামাসকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।”

সম্মেলনে আব্বাস যুদ্ধবিরতির তাগিদ দেন এবং বলেন, “আমাদের গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিতে হবে, জিম্মিদের মুক্ত করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) হিসেবে পরিচিত। পিএ মূলত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলোর জোট। এই জোটের সর্ববৃহৎ দল ফাতাহ। মাহমুদ আব্বাস পিএ-এর পাশাপাশি ফাতাহেরও প্রেসিডেন্ট।

গাজা উপত্যকায় এক সময় ফাতাহ ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সেখানে হামাস জয়ী হয়। তারপর ২০০৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই ফাতাহকে উপত্যকা থেকে বিদায় করে হামাস। বস্তুত ২০০৬ সালের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি গাজায়। গত প্রায় ১৯ বছর ধরে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বললেন আব্বাস