ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, মৃত্যু ৬ জনের
Published: 9th, November 2025 GMT
দেশে ডেঙ্গু নিয়ে এক দিনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ১৯৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত) দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা। এর আগে গত রোববার (২ নভেম্বর) ডেঙ্গু নিয়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৭৮ হাজার ৫৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৯৩ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ সংখ্যা ৩৩৫। এ সময় দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর ডেঙ্গু নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রোগী ভর্তি হয়েছেন বরিশাল বিভাগে—১৫৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নভেম্বরের প্রথম ৯ দিনে ডেঙ্গুতে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে মারা গেছেন ৮০ জন, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত মাসে ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৫২০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জন র ম ত য হয় ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় চার্চে হাতবোমা হামলার নিন্দায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
ঢাকায় খ্রিষ্টান উপাসনালয় লক্ষ্য করে হাতবোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এ ঘটনাকে লঘু চোখে না দেখে দায়ীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
রাজধানীর রমনায় সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রালে হাতবোমা বিস্ফোরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আজ রোববার রাতে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয়। তাতে গত ৮ অক্টোবর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে সরকার, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঘটনাগুলোর সঠিক তদন্ত করে জড়িত দুস্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেও সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ জাতীয় কর্মকাণ্ডকে লঘু করে দেখা হলে তা হবে দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।’
গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর রমনা থানার কাকরাইলে সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রালের প্রধান ফটক লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, দুটি ককটেলের একটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। তবে তাতে কেউ হতাহত হয়নি।
একই রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেন্ট যোসেফ স্কুল লক্ষ্য করেও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।
এসব ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ দুই দিনেও চিহ্নিত কিংবা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: রমনায় গির্জা লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ