ঝালকাঠিতে পূর্ববিরোধের জেরে ইমরান হাওলাদার নামের এক যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে দিয়েছিলেন খুনিরা। দুজনের নাম-পরিচয় জানা গেলেও বাকিরা ছিলেন অজ্ঞাত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট খুঁজে বের করেছে আজ্ঞাতনামা খুনি মো. সেলিম মাদবর রফিককে (৪৯)।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার রফিক বরগুনার আমতলী থানার ঘটখালী গ্রামের মৃত মো.

আলী মাদবরের ছেলে।

আরো পড়ুন:

উখিয়ায় ডাকাত সর্দারের ‘গানম্যান’ গ্রেপ্তার

বেরোবি প্রশাসনের বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার কর্মচারী

মামলা সূত্রে জানা যায়, টোল উত্তোলন নিয়ে বিরোধের জেরে গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভাধীন নান্দিকাঠি গ্রামে লাইফকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশে রাস্তায় ভুক্তভোগী ইমরান হাওলাদারকে পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ পার্শ্ববর্তী কচুরিপানা ভর্তি ডোবার পানিতে ফেলে দেন খুনিরা। তাদের হামলায় গুরুতর আঘাত পান ভুক্তভোগী ইমরানের স্ত্রী ফাহিমা বেগম। পরবর্তীকালে নিহত ইমরানের বাবা আব্দুর রশিদ হাওলাদার বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

সিআইডি জানায়, ঘটনার পরপরই ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। জব্দ করা আলামত পরীক্ষার জন্য ডিএনএ ল্যাব সিআইডি সদর দফর ঢাকায় পাঠানো হয়। ডিএনএ বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পাওয়া আলামতগুলো পরীক্ষা করে অজ্ঞাতনামা একজনের ডিএনএর অস্তিত্ব পায়। ডিএনএ প্রোফাইল ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে জানা যায় তার নাম মো. সেলিম মাদবর রফিক। পরে তাকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সিআইডির এলআইসি শাখা বিভিন্নভাবে তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তের অবস্থান শনাক্ত করে এলআইসি শাখার একটি দল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা ধানাধীন সারুলিয়া এলাকায় সোমবার (২৩ জুন) অভিযান চালিয়ে মো. সেলিম মাদবর রফিককে গ্রেপ্তার করে।

নথিপত্র পর্যালোনায় জানা যায়, তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ২টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া বাড্ডা থানার এক মামলায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এজাহারনামীয় এক নম্বর অভিযুক্ত আল আমিন হাওলাদার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। আর গ্রেপ্তার মো. সেলিম মাদবর রফিককে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইমর ন ড এনএ স আইড

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের মানুষ অসাধারণ, খাবার অসাধারণ: বিদায়বেলায় হানিয়া আমির

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে এসেই আলোচনার ঝড় তুলেছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই।

পাকিস্তানে ফেরার আগে বাংলাদেশের মানুষের পাশাপাশি খাবারেরও প্রশংসা করেছেন হানিয়া। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫৭ মিনিটে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সময় এসেছে। বাংলাদেশের ভক্ত ও জনগণকে বিদায় জানানো খুব কঠিন, যারা আমাকে সত্যিই ভালোবাসে এবং সমর্থন করে।’

হানিয়া লিখেছেন, ‘তোমাদের সবাইকে অনেক ভালোবাসি। খাবার অসাধারণ ছিল, মানুষগুলো অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুনহানিয়া আমির কি পুরোনো প্রেমে ফিরছেন০১ জুলাই ২০২৫

একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন হানিয়া। ইতিমধ্যে তাঁর পাকিস্তানে ফেরার কথা রয়েছে।

পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতেও তুমুল জনপ্রিয় হানিয়া। অভিনয় থেকে স্টাইল—সবখানেই তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনা দেখা যায়।

২০১৬ সালে ‘জনান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে হানিয়ার। এক দশকের ক্যারিয়ারে ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেইরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আনা’, ‘কাভি মে কাভি তুম’-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি।

হানিয়া আমির

সম্পর্কিত নিবন্ধ