নৌ-পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “নৌ পরিবহন সেক্টর আধুনিকায়ন একটা লং টার্ম পরিকল্পনা। আমার হাতে যে কাজগুলো আছে, সেখান থেকে যেগুলো মনে হয়েছে প্রয়োজন নেই, সেগুলোকে বাদ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। নতুন প্রজেক্টগুলোও আমরা নিচ্ছি। নতুন কাজগুলো হয়তো আমার পক্ষে শেষ করে যাওয়া হবে না।” 

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে একটা প্রজেক্ট পাস হতে অনেক সময় লাগে। যত দ্রুতই আমি করি না কেন- প্রজেক্ট পাস হওয়ার পরে মোবিলাইজেশন তারপর টাকা-পয়সা এরকম অনেক কিছু আছে।”

বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

এত নোংরামির পরও দেড় মাসে ভদ্রতার লাইন ক্রস করিনি: আসিফ

জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) নিয়েছি, শিমুলিয়াতে বন্দর করব। শিমুলিয়াতে বন্দরের খুব প্রয়োজন আছে। ওখানে আগেরই একটা পরিকল্পনা ছিল। যেহেতু, পদ্মা সেতু হয়ে গেছে সেজন্য লোকে ভাবছে আর কিছুর দরকার নাই। একচুয়ালি দরকার আছে। বন্দর বন্দরই, আর সেতু সেতু। ফেরির দরকার না থাকতে পারে, কিন্তু ওই অঞ্চলের জন্য নৌ বন্দর প্রয়োজন।” 

এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান মো.

সলিমুল্লাহ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসন ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/চন্দন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ