যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইরানি ড্রোন ধ্বংসে অংশ নিয়েছিল ফ্রান্স। বুধবার ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার রাতে পার্লামেন্টে লেকর্নু বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে পারি যে ফরাসি সেনাবাহিনী গত কয়েক দিনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পরিচালিত বিভিন্ন সামরিক অভিযানের সময় ১০টিরও কম ড্রোন প্রতিরোধ করেছে- হয় ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য সিস্টেমের মাধ্যমে অথবা আমাদের রাফায়েল যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে।”

লেকর্নু জানান, ১২ দিনের সংঘাতের সময় ইরান ইসরায়েলের দিকে প্রায় ৪০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং এক হাজার ড্রোন ছুঁড়েছে।

১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ শুরু করে, দাবি করে যে তাদের লক্ষ্য ছিল তাদের চিরশত্রু তেহরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ধ্বংস করা। তাদের হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিহত হন এবং বেশ কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে দেশে ৬১০ জন নিহত এবং প্রায় পাঁচ হাজার আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তেহরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত এবং শত শত ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ১৯৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৭৪ জন। এ বিভাগের জেলা বরগুনায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪১।

সম্প্রতি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) পরিচালিত এক জরিপে বরগুনা পৌরসভার ৩১ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর এলাকার চেয়ে গ্রামাঞ্চলের অবস্থা অনেক খারাপ। সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের ৭৬ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে প্রতি ১০ বাড়ির মধ্যে ৮টিতে।

আইইডিসিআরের গবেষক দল ১৭ থেকে ১৯ জুন জরিপটি করে। এরপর রোববার প্রতিষ্ঠানটি জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেয়। লার্ভা বেশি হলে সে এলাকাকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বরগুনা পৌর শহরের দুটি ওয়ার্ডে সংক্রমণে হার ৮০, যা ডব্লিউএইচও নির্ধারিত সীমার ৮ গুণ বেশি।

শুধু চলতি বছরই নয়, গত বছরও বরগুনায় ডেঙ্গুর উচ্চ সংক্রমণ ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাইরে বরগুনা ছিল দেশের চতুর্থ বৃহৎ ডেঙ্গু সংক্রমণের এলাকা। এ জেলায় গত বছর ২ হাজার ৪৩৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বরিশাল বিভাগে এটি ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমণ।

আরও পড়ুনটাকা নয়, ডেঙ্গুমৃত্যু পর্যালোচনা হচ্ছে না সদিচ্ছার অভাবে২৫ জুন ২০২৫আরও পড়ুনকার ‘গুনা’য় বরগুনা এখন ডেঙ্গুর ‘রাজধানী’২৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ