Prothomalo:
2025-10-03@04:07:39 GMT

গোড়ালির ব্যথায় কী করবেন

Published: 26th, June 2025 GMT

গোড়ালি ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ মচকে যাওয়া বা গোড়ালির চারপাশের লিগামেন্টগুলো প্রসারিত বা ছিঁড়ে যাওয়া। এ ছাড়া গোড়ালি ব্যথার অন্যান্য কারণ হলো প্লান্টার ফ্যাসাইটিস, ক্যালকেনিয়াম স্পার, গেঁটে বাত, বারসাইটিস, টারসাল টানেল সিনড্রোম, অ্যাকিলিস টেন্ডিনাইটিস, হাড়ভাঙা ইত্যাদি।

কাদের বেশি হয়

দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা শক্ত সোলের জুতা ব্যবহার করেন, স্থূলতার কারণে গোড়ালিতে বেশি চাপ, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। পেলভিস পোস্টেরিয়র টিল্ট বা নকনির জন্যও গোড়ালি ব্যথা হতে পারে। তুলনামূলকভাবে নারীদের গোড়ালি ব্যথা বেশি হয়, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়। জন্মগত ফ্ল্যাট ফুট যাঁদের, তাঁদের গোড়ালি ব্যথা হতে পারে।

প্রতিকার ও চিকিৎসা

উঁচু ও শক্ত সোলের জুতা পরিহার করুন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ ও অতিরিক্ত অসম জায়গায় চলাচল করা যাবে না। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সামুদ্রিক মাছ, শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন। দেহে ভিটামিন ডির সঠিক মাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, যাতে পায়ে চাপ কম পড়ে।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করুন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা থাকলে নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি সেশনের মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়। ম্যানুয়াল বা ম্যানিপুলেশন থেরাপি, লেজার, আলট্রাসাউন্ড, টেপিং ও কিছু ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনপা ভাঁজ করে বসার কিছুক্ষণ পরেই অবশ হয়ে আসে কেন০৫ মার্চ ২০২৫

ঘরে বসে কিছু ব্যায়াম করা যায়

দেয়ালের কাছে দাঁড়িয়ে গোড়ালি তুলে পায়ের বৃদ্ধা আঙুলে ভর করে দাঁড়ান ও ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।

একটি পানির বোতল ভরে ফ্রিজে রাখুন। বরফ জমে গেলে বোতলটি পায়ের নিচে রেখে ৩০ সেকেন্ড ফুট রোল করুন।

একটি ফিতা বা চোয়ালে নিয়ে পায়ের পাতার সামনের অংশে আটকে দুই হাত দিয়ে হালকা করে টানুন ও ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।

একটি টেনিস বল নিয়ে পায়ের গোড়ালি থেকে পাতা পর্যন্ত ১৫–২০ বার রোল করুন দিনে তিনবার।

হাত দিয়ে পায়ের পাতায় ম্যাসাজ করুন। দিনে তিনবার করুন একই নিয়মে।

যেকোনো দেয়ালের সামনে দাঁড়ান। একটি পা সামনে, অপর পা পেছনের দিকে সোজা করে রাখুন। সামনের পায়ের হাঁটু ভাঁজ করুন। পেছনের পায়ের হাঁটু ভাঁজ না করে একদম সোজা রাখুন। দুই হাত দিয়ে দেয়ালে ভর দিন। এ সময়ে আপনার পেছনের পা ও গোড়ালিতে টান অনুভব করবেন। একই অবস্থানে পেছনের পা সামনে এনে ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এভাবে দুই পায়ে ১০ বার করে দিনে ৩ বার করুন।

শারমিন হোসেন, ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, আলোক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার, ঢাকা

আরও পড়ুনহাত-পা ঝিনঝিন করে কেন, এটা কি কোনো মারাত্মক রোগের লক্ষণ?১৬ জুন ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৩০ স ক ন ড র কর ন

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ