এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
Published: 26th, June 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধান দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিসিএস (কর) এবং বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন। তবে বৈঠকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা আসেননি।
বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা ড.
আন্দোলনকারী আগামী শনিবারে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ কর্মসূচি প্রত্যাহারে তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যান এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, রাতেই এর সমাধান হয়ে যাবে– এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাতে আন্দোলনকারীরা কিংবা এনবিআর চেয়ারম্যান এটি জানিয়েছে দেবেন। অর্থ উপদেষ্টা আশা করেন আন্দোলনকারীরা তার আহ্বানে সাড়া দেবেন। এটা আমাদের কারো কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, দেশের স্বার্থ। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদেরও অনুরোধ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান আন্দোলনের বিষয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাজস্ব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের বৈঠক করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। ১৭ জন এনবিআরের সদস্যের মধ্যে ১৬ জনই এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, একজন অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকার কারণে আসতে পারেননি। বৈঠকের মূল ফোকাস ছিল আমদানি–রপ্তানি, ব্যবসা–বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত এনবিআরে যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা। আমরা আশাবাদী এ সমস্যার একটা সুন্দর সমাধান হবে।
তিনি আরও বলেন, সমাধানের লক্ষ্য আলোচনা চলছে, আরও আলোচনা হবে। আমরা যাচ্ছি না, তবে আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। তারা সিদ্ধান্ত দিলে আশাকরি আজকের মধ্যেই একটা ভালো সমাধান পাওয়া যাবে। ভার্চুয়ালি ও মোবাইল ফোনে আলোচনা চলছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী, আন্দোলন করলে তারা রাজস্ব আদায়ের কাজটাও ভালোমতো করছেন। ব্যাপারটা এমন না যে সব কাজ বন্ধ হয়েছে। তাদের উদ্বেগগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুতই তা সমাধান হবে। আন্দোলনকারীরা আপনার অপসারণ দাবি করছেন এমন প্রশ্নে কোনো কথা বলতে চাননি এনবিআর চেয়ারম্যান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড স ল হউদ দ ন আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম ভারতীয় হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখলেন শুভাংশু শুক্লা
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পা রেখে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় মহাকাশচারী গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি কক্ষপথে অবস্থিত এই মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে প্রবেশ করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেস পরিচালিত অভিযান অ্যাক্সিয়ম-৪ সফলভাবে মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে চার সদস্যের ক্রু সেখানে প্রবেশ করেন। সম্প্রচারে সেই দৃশ্য সরাসরি দেখা যায়।
এর আগে বুধবার অ্যাক্স-৪ মিশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন নাসার সাবেক অভিজ্ঞ মহাকাশচারী পেগি হুইটসন। পাইলটের দায়িত্ব পালন করেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লা। বাকি দুই সদস্য হলেন পোল্যান্ডের স্লাভোস উজনানস্কি-ভিসনেভস্কি এবং হাঙ্গেরির তিবোর কাপু। তাঁরা সবাই আগামী দুই সপ্তাহ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গবেষণা ও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন।
শুভাংশু শুক্লা ভারতীয় বিমানবাহিনীর একজন অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। তাঁর এই মহাকাশযাত্রা ভারতের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ, এর আগে ১৯৮৪ সালে মাত্র একবার কোনো ভারতীয় মহাকাশে গিয়েছিলেন। সেবার রাকেশ শর্মা সোভিয়েত ইউনিয়নের সয়ুজ ক্যাপসুলে চড়ে মহাকাশ পাড়ি দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ৪১ বছর পর আবার এক ভারতীয়ের মহাকাশযাত্রা নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিল।
অভিযানটি নাসা, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইসা) এবং স্পেসএক্সের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে আরও অংশ নেবেন ইউরোপের দুই মহাকাশচারী। চার দশকের বেশি সময় পর নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে তাঁরা মহাকাশ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।
দুই সপ্তাহের এই অভিযানে চার সদস্যের ক্রু দলটি মোট ৬০টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করবেন। এর মধ্যে সাতটি গবেষণার পরিকল্পনা করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) অ্যাক্স-৪ মিশনে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লার জন্য একটি আসন ও প্রশিক্ষণের খরচ বাবদ প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে। সংস্থাটি বলছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) এই সফরের মাধ্যমে শুক্লা যে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন, তা ভারতের ভবিষ্যৎ মানব মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইসরো জানিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে তারা প্রথমবারের মতো মহাকাশে মানুষসহ অভিযান সম্পন্ন করতে চায়। পাশাপাশি ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন এবং ২০৪০ সালের মধ্যে কোনো ভারতীয়কে চাঁদের মাটিতে নামানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।