জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধান দ্রুত সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে জানিয়েছেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিসিএস (কর) এবং বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ক্যাডারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এসব কথা বলেন। তবে বৈঠকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা আসেননি।

বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীরা না আসলেও দায়িত্বশীল সিনিয়র অফিসার, কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকারীরাও তাদের সঙ্গেই কাজ করেন। খোলামেলা আলোচনা হয়েছে, দেশের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ এ সার্ভিসে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আরও একটি সভা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আন্দোলনকারী আগামী শনিবারে একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ কর্মসূচি প্রত্যাহারে তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যান এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, রাতেই এর সমাধান হয়ে যাবে– এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাতে আন্দোলনকারীরা কিংবা এনবিআর চেয়ারম্যান এটি জানিয়েছে দেবেন। অর্থ উপদেষ্টা আশা করেন আন্দোলনকারীরা তার আহ্বানে সাড়া দেবেন। এটা আমাদের কারো কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, দেশের স্বার্থ। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদেরও অনুরোধ করেন অর্থ উপদেষ্টা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান আন্দোলনের বিষয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাজস্ব প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের বৈঠক করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। ১৭ জন এনবিআরের সদস্যের মধ্যে ১৬ জনই এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, একজন অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকার কারণে আসতে পারেননি। বৈঠকের মূল ফোকাস ছিল আমদানি–রপ্তানি, ব্যবসা–বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত এনবিআরে যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠা। আমরা আশাবাদী এ সমস্যার একটা সুন্দর সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, সমাধানের লক্ষ্য আলোচনা চলছে, আরও আলোচনা হবে। আমরা যাচ্ছি না, তবে আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন। তারা সিদ্ধান্ত দিলে আশাকরি আজকের মধ্যেই একটা ভালো সমাধান পাওয়া যাবে। ভার্চুয়ালি ও মোবাইল ফোনে আলোচনা চলছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী, আন্দোলন করলে তারা রাজস্ব আদায়ের কাজটাও ভালোমতো করছেন। ব্যাপারটা এমন না যে সব কাজ বন্ধ হয়েছে। তাদের উদ্বেগগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুতই তা সমাধান হবে। আন্দোলনকারীরা আপনার অপসারণ দাবি করছেন এমন প্রশ্নে কোনো কথা বলতে চাননি এনবিআর চেয়ারম্যান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড স ল হউদ দ ন আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ