Risingbd:
2025-08-11@21:34:25 GMT

ইরানে গণগ্রেপ্তার শুরু

Published: 27th, June 2025 GMT

ইরানে গণগ্রেপ্তার শুরু

ইসরায়েলের সাথে সংঘাতের পর ইরানে গণগ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করছে ইরান। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে বিবিসি।

ইরানি কর্মকর্তারা মনে করছেন তাদের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোতে ইসরায়েলি চরদের নজিরবিহীন অনুপ্রবেশ ঘটেছে।

কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, ইসরায়েলকে এসব চরদের দেওয়া তথ্য সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় একাধিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডে ভূমিকা রেখেছিল। ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ইসলামিক রেভিউল্যুশনারি গার্ড কোর বা আইআরজিসির সিনিয়র কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরা রয়েছেন। এ ঘটনার জন্য ইরান দেশের অভ্যন্তরে কর্মরত ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কর্মীদের দায়ী করছে। এই হত্যাকাণ্ডের মাত্রা এবং নির্ভুলতা দেখে হতবাক হয়েছে ইরানের কর্তৃপক্ষ। তাই এখন মোসাদের সাথে কাজ করছে এমন সন্দেহভাজন যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

তবে অনেকের আশঙ্কা, এটি ভিন্নমত দমন এবং নাগরিকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদারে ব্যবহার করা হতে পারে।

১২ দিনের সংঘাতের সময় ইরানি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। বুধবার যুদ্ধবিরতির ঠিক একদিন পরে একই অভিযোগে আরো তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দেশজুড়ে শত শত সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বেশ কয়েকজন আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি সম্প্রচার করেছে। তারা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

প্রযুক্তির উৎকর্ষের মধ্যেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে প্রায়ই বিকৃতভাবে বা ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। গুগলে ‘ইনডিজেনাস পিপল’ লিখে খোঁজা হলে মাঝেমধ্যে এমন ছবি দেখানো হয়, যা তাদের ‘আদিম’, ‘বন্য’, ‘বর্বর’, ‘জংলি’ ও ‘হিংস্র’ আকারে উপস্থাপন করে।

সোমবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জা​দুঘর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এমন অভিযোগ করেন। ‘আদিবাসী নারীর অধিকার রক্ষা ও ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াইয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।

আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের ঘিরে এমন উপস্থাপনের প্রভাব নারীদের ওপরও পড়বে।

মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, দেশে জাতিসংঘের অনেকগুলো দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলেও আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন করা হয় না। তিনি বলেন, বুঝুক আর না বুঝুক বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশনকে তড়িঘড়ি করে সমর্থন করে। কিন্তু এই কনভেনশনকে সমর্থন করেনি। সরকার বুঝেশুনেই সমর্থন করেনি। আগের সরকার বলেছে, বাংলাদেশে আদিবাসী নেই, এই সরকারও আদিবাসীদের স্বীকৃতি দিচ্ছে না।

একটাই ধর্ম ও জাতিসত্তা থাকবে, এমন মনোভাব কাম্য নয় উল্লেখ করে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, ‘কিসের ভয়ে আমরা দেশে ভিন্ন ধর্ম, চিন্তা ও জাতিসত্তার মানুষকে থাকতে দেব না? কে অধিকার দিয়েছে যে একটি মাত্র মতবাদ, চিন্তা, ভাষা জাতি ও ধর্ম থাকবে? রাষ্ট্রের জন্য এটা কাম্য হতে পারে না।’

চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানে সমতল ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করে খুশী কবির বলেন, অভ্যুত্থানের পরে আর নারীদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। নারী কমিশন গঠন করা হয়। কিন্তু কমিশনের কোনো কিছু গ্রহণ করা হয়নি। এর অর্থ সরকার নারীদের ভয় পায়। এই অবস্থা টিকে থাকার জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। তাই অধিকার আদায়ে নারীদের শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। এখনই উত্তম সময়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির ছবি: প্রথম আলো হেডিং: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ