প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৮৬তম জন্মদিন আজ
Published: 28th, June 2025 GMT
আজ শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৮৬তম জন্মদিন। তিনি ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেড় দশক ধরে তাঁর জন্মদিনকে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয় সামাজিক ব্যবসা দিবস হিসেবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সমকালকে জানিয়েছেন, ড.
গতকাল শুক্রবার ঢাকার সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’র উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. ইউনূস। তবে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার জন্মদিনের উদযাপন সংক্রান্ত কোনো আয়োজন ছিল না।
অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ী। দারিদ্র্য দূরীকরণে জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণের ব্যাংকিং তাঁকে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি দিয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও নোবেল জয়ী।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরানো হয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলে সরকারপ্রধানের তির্যক সমালোচনা এবং মামলায় জর্জরিত ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। তাঁকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ঢাকার শ্রম আদালত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের অনুরোধে ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ইউনূস। ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা, বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কাজ করছে তাঁর সরকার। সংবিধান, নির্বাচন, জনপ্রশাসনসহ নানা খাতে সংস্কারের চেষ্টা করছে।
অতীতে সরকারপ্রধানদের জন্মদিন ঘটা করে উদযাপন হতো। রাজনৈতিকভাবেও পালিত হতো। সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা উদযাপনের ঢল ছিল। বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীরা প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা লিখতেন। রাজনীতিক, ব্যবসায়ীরা ছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারপ্রধানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করত। দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রকাশে নিষেধ করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড ইউন স ইউন স র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৮৬তম জন্মদিন আজ
আজ শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৮৬তম জন্মদিন। তিনি ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেড় দশক ধরে তাঁর জন্মদিনকে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয় সামাজিক ব্যবসা দিবস হিসেবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সমকালকে জানিয়েছেন, ড. ইউনূসের জন্মদিন উপলক্ষে সরকারি কোনো কর্মসূচি নেই। সরকারি পর্যায়ে জন্মদিন পালন করা হবে না।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’র উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ড. ইউনূস। তবে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার জন্মদিনের উদযাপন সংক্রান্ত কোনো আয়োজন ছিল না।
অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ী। দারিদ্র্য দূরীকরণে জামানতবিহীন ক্ষুদ্র ঋণের ব্যাংকিং তাঁকে দুনিয়াজুড়ে খ্যাতি দিয়েছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও নোবেল জয়ী।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরানো হয়। আওয়ামী লীগের শাসনামলে সরকারপ্রধানের তির্যক সমালোচনা এবং মামলায় জর্জরিত ছিলেন অধ্যাপক ইউনূস। তাঁকে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ঢাকার শ্রম আদালত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের অনুরোধে ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ইউনূস। ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা, বিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কাজ করছে তাঁর সরকার। সংবিধান, নির্বাচন, জনপ্রশাসনসহ নানা খাতে সংস্কারের চেষ্টা করছে।
অতীতে সরকারপ্রধানদের জন্মদিন ঘটা করে উদযাপন হতো। রাজনৈতিকভাবেও পালিত হতো। সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা উদযাপনের ঢল ছিল। বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীরা প্রধানমন্ত্রীর বন্দনা লিখতেন। রাজনীতিক, ব্যবসায়ীরা ছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারপ্রধানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করত। দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রকাশে নিষেধ করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছে।