আগামীকাল রোববারও চলবে শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী আন্দোলনকারীরা, তবে এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।

আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি জানিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা এই শাটডাউন কর্মসূচির বাইরে থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার। তিনি বলেন, এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে দায়িত্বে রেখে গত ২৫ মে সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তির আলোকে রাজস্ব সংস্কার সম্ভব নয়। স্পষ্টতই তিনি ফ্যাসিবাদের দোসর একটি বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে প্রতিভূ হিসেবে কাজ করছেন।

আজও শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি চলছে। সকাল থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কাজ হচ্ছে না। চলছে শাট ডাউন কর্মসূচি। ভবনের ভেতরে কেউ ঢুকতে পারছেন না। বের হতেও পারছেন না কেউ। ফলে এনবিআরের সব সেবা বন্ধ আছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল, ঢাকা কাস্টমস হাউসসহ দেশের সব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কার্যক্রম বন্ধ। এতে আমদানি রপ্তানিতে সব ধরনের শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ আছে।

দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার অভিযোগ করেন, পলাতক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী যে ৪৪ আমলার (যাঁর ছয়জনকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়েছে) তালিকা করা হয়েছে, তার মধ্যে এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান ৩ নম্বরে আছেন। সংস্কারপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে তিনি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করবেন, এটাই স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২১ ও ২২ জুন একাধিক আদেশের মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলকভাবে বদলি করা হয়েছে। কর্মসূচিতে সম্মুখসারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এমন পাঁচ আয়কর কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে অপেক্ষাকৃত কম রাজস্ব সম্ভাবনাময় দপ্তরে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এমনকি আদেশে প্রাপ্য যোগদানকাল না দিয়েই পরবর্তী কর্মদিবসে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এটি চাকরির বিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী ও অবৈধ।

হাছান মুহম্মদের অভিযোগ, এই অবৈধ আদেশের মাধ্যমে এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত জিঘাংসা চরিতার্থ করছেন। তাঁর এহেন কর্মকাণ্ড দুরভিসন্ধিমূলক। তিনি নিপীড়নমূলক বদলিসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজস্বব্যবস্থা সংস্কারের পরিবেশ বিনষ্ট করছেন।

এই পরিস্থিতিতে কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ