পাবনা মানসিক হাসপাতালের ৯ দালালের কারাদণ্ড
Published: 29th, June 2025 GMT
পাবনা মানসিক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৯ দালালকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটককৃতদের এক মাসের কারাদণ্ড দেন পাবনা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন।
রবিবার (২৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে জেলা প্রশাসন ও এনএসআই-এর সহযোগিতায় তাদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কিসমত প্রতাপপুর গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে মুকাররম হোসেন (৫০), মুনসুর আলীর ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪২), ইসলামপুর গ্রামের মৃত জামাল শেখের ছেলে হালিম শেখ (৪০), আব্দুল লতিফ মণ্ডলের ছেলে মানিক মণ্ডল (২৪), হেমায়েতপুর গ্রামের মৃত সামাদ শেখের শফিকুল শেখ (৫৫), শহিদ আলীর ছেলে ছাবিত আলী (১৯), মুনজির হোসেনের ছেলে মুন্নাফ হোসেন (৩১), বুদেরহাট গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জুয়েল রানা (৩০) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৃত ইসরাইল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫)।
আরো পড়ুন:
শেরপুরের হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি
ডাক্তারকে রোগীর থাপ্পড়
পুলিশ জানায়, দালালের কাছে প্রায় জিম্মি ছিল মানসিক হাসপাতাল। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা দালালদের খপ্পরে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এনএসআই-এর এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ৯ দালালকে। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
হেমায়েতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। সদর এসিল্যান্ড ও এনএসআইয়ের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাজাপ্রাপ্তদের জেলহাজতে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ