নয় দফা দাবির মধ্যে চার দফা দাবি মেনে নেওয়াই এবং বাকি পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়াই আন্দোলন স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংস্কার আন্দোলন।

রবিবার (২৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।

এর আগে, বেলা ১১টায় রাবি সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে তারা বিকেল ৪টার দিকে প্রশাসন ভবন ত্যাগ করেন। 

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ও উপ-উপাচার্য (প্রসাশন) অধ্যাপক মাইন উদ্দীন খান ক্যাম্পাসে না থাকাই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহা ফরিদ উদ্দীন খান এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন: ৯ দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও

এ সময় আম্মার বলেন, “আমাদের চারটা দাবি প্রশাসন এই মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন। রোল বিহিন খাতা মূল্যায়ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হবে, সপ্তাহে সাতদিন কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে, প্রশাসনের সব কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক এটা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে এবং রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ৩০ জুনের মধ্যে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের যে আরো পাঁচটা দাবি আছে। যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা, আমরা মৌখিক নয়, লিখিত রোড ম্যাপ চাই। আমরা আজই চেয়েছিলাম, কিন্তু উপাচার্য না থাকাই তা হয়নি। তারা সময় চেয়েছেন। আমরা তাদের সাতদিন সময় দিয়েছি।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ