রাবি প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীদের ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত
Published: 29th, June 2025 GMT
নয় দফা দাবির মধ্যে চার দফা দাবি মেনে নেওয়াই এবং বাকি পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়াই আন্দোলন স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংস্কার আন্দোলন।
রবিবার (২৯ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
এর আগে, বেলা ১১টায় রাবি সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে তারা বিকেল ৪টার দিকে প্রশাসন ভবন ত্যাগ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব ও উপ-উপাচার্য (প্রসাশন) অধ্যাপক মাইন উদ্দীন খান ক্যাম্পাসে না থাকাই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) মোহা ফরিদ উদ্দীন খান এ আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন: ৯ দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও
এ সময় আম্মার বলেন, “আমাদের চারটা দাবি প্রশাসন এই মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন। রোল বিহিন খাতা মূল্যায়ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হবে, সপ্তাহে সাতদিন কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে শুরু হবে, প্রশাসনের সব কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক এটা অলরেডি শুরু হয়ে গেছে এবং রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল ৩০ জুনের মধ্যে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, “আমাদের যে আরো পাঁচটা দাবি আছে। যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা, আমরা মৌখিক নয়, লিখিত রোড ম্যাপ চাই। আমরা আজই চেয়েছিলাম, কিন্তু উপাচার্য না থাকাই তা হয়নি। তারা সময় চেয়েছেন। আমরা তাদের সাতদিন সময় দিয়েছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আঙুল হঠাৎ ‘লক’ হয় কেন, হলে কী করবেন
আঙুল সোজা করতে গিয়ে হঠাৎ বেঁকে বা লক হয়ে যেতে পারে। এটাকে বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম স্টেনোসিং টেনোসিনোভাইটিস।
আমাদের আঙুল বাঁকা বা সোজা করার কাজটি হয় টেনডন বা রশির মতো একটি বস্তুর মাধ্যমে। হাড়ের সঙ্গে ঘর্ষণ কমাতে কিছু ‘পুলি’–এর মধ্য দিয়ে চলে। এর একটি ‘এ ওয়ান’ পুলি। এটি ফুলে বা আঁটসাঁট হয়ে গেলে টেনডন সহজে নড়ানো যায় না।
এর ফলে আঙুল বাঁকানোর সময় আটকে যায় বা হঠাৎ ক্লিক দিয়ে সোজা হয়। এটাকেই বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার।
কেন হয়, লক্ষণদীর্ঘদিন কারও ডায়াবেটিস থাকলে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা (হাইপোথাইরয়ডিজম), হাতের অতিরিক্ত ব্যবহার—যেমন গ্রিপ করে কাজ করা, হাতুড়ি, কাঁচি ইত্যাদির কারণে এটা হয়ে থাকে। এটি বেশি হয় নারীদের। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সে এটা বেশি হতে দেখা যায়।
সকালের দিকে আঙুল শক্ত হয়ে থাকা বা সোজা হতে না চাইলে বুঝবেন ট্রিগার ফিঙ্গার হয়েছে। এ ছাড়া আঙুল বাঁকিয়ে ছেড়ে দিলে আটকে যায় বা ক্লিক শব্দ দিয়ে সোজা হওয়া, আঙুলের নিচের তালুর গোড়ার দিকে ব্যথা, আবার কখনো কখনো আঙুল একদম ‘লক’ হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন৮ বছর আগে যেমন ছিল সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র, দেখুন ২০টি ছবি৭ ঘণ্টা আগেকরণীয় ও চিকিৎসাবারবার শক্তভাবে কিছু ধরা বা চেপে ধরার মতো কাজ কমাতে হবে।
ভারী জিনিস তোলা, ঝাড়ু দেওয়া, হাতুড়ি ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
একটানা কোনো কাজ না করে মাঝেমধ্যে হাত বিশ্রামে রাখা।
ঘুমের সময় হাত মোড়ানো অবস্থায় না রেখে খোলা রাখতে চেষ্টা করা।
কলম বা হাতলের ওপর হালকা গ্রিপ ব্যবহার করা।
আরও পড়ুনআইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার ৫টি কার্যকর উপায়৫ ঘণ্টা আগেআঙুল সোজা করে রাখার জন্য ফিঙ্গার স্প্লিন্ট বা ওভাল ৮ স্প্লিন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে টেনডনে চাপ কমে এবং বেশ আরামও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফিজিক্যাল থেরাপি বা মেশিন থেরাপি দেওয়া যায়। যেমন প্রদাহ কমাতে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, ব্যথা কমাতে টেনস থেরাপি এবং প্রদাহ–ব্যথা কমাতে ক্রায়োথেরাপি অর্থাৎ বরফ সেঁক বেশ কার্যকর।
ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। যদি ওপরের সব ব্যবস্থা তিন থেকে ছয় মাসে কাজে না আসে, তখন পারকিউটেনিয়াস রিলিজ বা ওপেন সার্জারির মাধ্যমে ‘এ ওয়ান’ পুলি কেটে দেওয়া হয়।
আঙুলের ব্যায়ামআঙুলের ব্যায়াম বেশ কার্যকর। থেরাপিস্টের মাধ্যমে বা নিজে নিজে ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন ধীরে ধীরে আঙুল নাড়ানো, টেনডন গ্লাইডিং, থেরাপিউটিক পুটি বা বল ব্যবহার করে গ্রিপ শক্তিশালী করা, ব্যথা না বাড়লে ধীরে ধীরে ফ্লেক্সন-এক্সটেনশন ব্যায়াম শুরু করা যায়।
ডা. সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুনসারা টেন্ডুলকারই কি ভাই অর্জুনের বিয়ের ঘটক? বিস্তারিত জানুন ছবিতে ছবিতে১ ঘণ্টা আগে