ফেসবুকের নতুন সুবিধা ‘ক্লাউড প্রসেসিং’ কি ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য হুমকি
Published: 29th, June 2025 GMT
ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করায় আগেও নানা প্রশ্নের মুখে পড়েছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। এবার প্রতিষ্ঠানটির নতুন একটি সুবিধা ঘিরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বিঘ্নের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ‘ক্লাউড প্রসেসিং’ নামের এই সুবিধা চালু করলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি স্ক্যানের পর মেটার ক্লাউড সার্ভারে আপলোড করে মেটা এআই।
সম্প্রতি একাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, ফেসবুকে স্টোরি আপলোড করতে গিয়ে তাঁরা একটি পপআপ বার্তা দেখতে পান। সেখানে ক্লাউড প্রসেসিং চালুর অনুরোধ জানানো হয়। এতে সম্মতি দিলে ব্যবহারকারীদের ফোনে থাকা ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান করে মেটার ক্লাউডে সংরক্ষণ হয়ে যায়।
মেটার তথ্যমতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ক্লাউড প্রসেসিং সুবিধাটি ব্যবহারকারীদের সৃজনশীল পরামর্শ পেতে সাহায্য করবে। সুবিধাটির মাধ্যমে সহজেই ছবি দিয়ে স্বয়ংক্রিয় কোলাজ তৈরির পাশাপাশি জন্মদিন বা অন্য কোনো উপলক্ষে থিমভিত্তিক সাজেশনে এআইভিত্তিক ফিল্টার ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্মার্টফোনে থাকা সব ছবি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি করা হলে সেটি ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
মেটা জানিয়েছে, ক্লাউড প্রসেসিং সুবিধাটি ব্যবহারকারীরা চাইলে যেকোনো সময় বন্ধ করতে পারবেন। সুবিধাটি বন্ধের পর ক্লাউডে আপলোড হওয়া ছবিগুলো ৩০ দিনের মধ্যে মুছে ফেলা হবে। কিন্তু প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, ক্লাউড প্রসেসিং সুবিধা যতটা সহায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, ততটাই মারাত্মক হতে পারে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষার দিক থেকে। কারণ, অনেক সময় ব্যবহারকারীরা না বুঝেই এতে সম্মতি জানিয়ে দিচ্ছেন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, যমুনা সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক
যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে হওয়া ব্লকেড ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ১ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে এ কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিমে মহাসড়ক ব্লকেড করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন।
আরো পড়ুন:
দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা
উদ্বোধনের আগেই ঝুঁকিতে পড়ছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু
এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচীর কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ব্লকেড প্রত্যাহারের পর ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, “১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। এতে উভয় লেনেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ১ ঘণ্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করার পরে সড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আজকে রেল ও সড়ক পথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধের কারণে সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করার পর মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের (ডিপিপি) অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ৬ মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পূণরায় আন্দোলন শুরু হয়।
ঢাকা/রাসেল/মেহেদী