সোহাগ পাটোয়ারী নামে আরও ১ প্রতারককে গ্রেপ্তার করল দুদক
Published: 30th, June 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আরও এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। ফেসবুকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর অভিযোগের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ে মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
সর্বশেষ গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সোহাগ পাটোয়ারী (৪০)। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুরের রামগঞ্জ থানার দাশপাড়া গ্রামে। তিনি রাজধানীর মুগদায় দক্ষিণ মান্ডা এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
দুদক জানায়, গ্রেপ্তারের সময় সোহাগ পাটোয়ারীর কাছ থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভুয়া পরিচয়পত্র, ক্যামেরা, বুম, সেলফি স্টিক, পাসপোর্ট, ভিজিটিং কার্ড, ব্যাংকের চেক বই, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.
অনুসন্ধান কমিটি পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় শনিবার ও রোববার প্রতারক চক্রের মূল হোতা সেলিমসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতারকরা হচ্ছে— মো. সেলিম (৪০), তরিকুল ইসলাম তারেক (৪০), আব্দুল হাই সোহাগ (৩৫) মো. আতিক (৩৮) ও সোহাগ পাটোয়ারী (৪০) ।
প্রতারক চক্রটি দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তা পরিচয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করছিল। এই চক্রের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে মামলা করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হতে হবে: আযম খান
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকটে আহমেদ আযম খান বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা কিছু কিছু অবনতি ঘটছে। এটাকে ব্যাপক বলা যাবে না। তবে সরকারকে কঠোর হতে হবে। সরকার যদি এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে কঠিনভাবে মোকাকেলা না করে. তাহলে এগুলো আরো ঘটতে থাকবে এবং নির্বাচনের পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।”
তিনি বলেন, “এটা যে পরিকল্পিত, সরকারকে বুঝতে হবে। সরকারের জন্য একটা ভালো নির্বাচন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়বে। আমরা চাই না, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সরকার ব্যর্থ হোক।”
শনিবার (১৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মহিলা দলের কর্মী সভায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
হাসিনা তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে দেশে এসেছিল: এ্যানি
সাতক্ষীরায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মী বহিষ্কার
আযম খান বলেন, “সরকার বিএনপিসহ জনদাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। ড. ইউনূস দেশে ও দেশের বাইরে এ ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু কতিপয় রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাকে গ্রহণ করতে পারছে না। তারা নানা ধরনের পরিবেশ ঘোলা করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমি মনে করি, সরকারের কঠোর হওয়া উচিৎ।”
তিনি বলেন, “আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করছি আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অকারেঞ্জ হচ্ছে। আমাদের উপদেষ্টাদের নিয়ে নানা ধরনের কথা হচ্ছে এবং তাদের সম্পর্কে নানা রকমের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। এটা নিয়ে আমরাই যে চিন্তিত, তা না; গণতন্ত্রমনা প্রত্যেকটা নাগরিক চিন্তিত।”
তিনি আরো বলেন, “ কারণ যত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্রের পথে ফেরৎ যাওয়া যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল। কিন্তু তারা গণতন্ত্রে যাওয়ার পেছনে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে নির্বাচনের পথে দৃষ্টি দিতে হবে। তা না হলে দেশের জন্য অত্যন্ত অমঙ্গলজনক।”
এ সময় জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, সাধারণ সম্পাদক মর্জিনা বেগম, বাসাইল পৌর মহিলা দলের সভাপতি রোকসানা খান, সাধারণ সম্পাদক নাজমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/কাওছার/মেহেদী