রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে আজ সোমবার (৩০ জুন) সব ব্যাংকের শাখায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাধারণত ব্যাংক লেনদেনের সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে, রাজস্ব আদায় ও জমাদানের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় লেনদেন কার্যক্রমের সময় ২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে।

অপরদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে দেশের ব্যাংকগুলোর সব ধরনের গ্রাহক লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে।

ঢাকা/নাজমুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্যকরী কমিটির সভা চলাকালে বহিরাগতদের হামলা, মারধর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যকরী কমিটির সভা চলাকালে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে কর্মচারীদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সোমবার দুপুরে জেলা শহরের মসজিদ রোড এলাকায় অবস্থিত চেম্বার ভবনে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, আগামী জুলাই মাসে এফবিসিসিআইর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স ‘এ’ শ্রেণির হওয়ায় এফবিসিসিআইর কাছে ছয়জন ভোটারের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে সভা করে চেম্বারের বর্তমান কমিটি। ভোটারদের নাম নির্বাচন করতে ২০ সদস্যের কমিটির মধ্যে সাতজন সদস্য এ সভায় বসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হক, সহসভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর ও বাবুল মিয়া, পরিচালক আজিজুর রহমান, জুয়েল খান, তানভির আহমদ, জাবেদুল ইসলাম। 

সভা চলাকালীন সময়ে একদল বহিরাগত অতর্কিতভাবে চেম্বারে প্রবেশ করে সভা বন্ধ করতে বলেন। তাদের সঙ্গে চেম্বারের সদস্য কাজল মিয়াসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বহিরাগতদের সঙ্গে সভায় উপস্থিত লোকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেম্বারের সচিব আজিম উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করে দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বহিরাগতরা। পরে আরেকটি কক্ষে ঢুকে হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে টেনেহেঁচড়ে বের করে মারধর করেন। এ সময় তাঁর পকেট থেকে ২২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। 

এ ঘটনার ১ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। এতে দেখা গেছে, সভাপতি আজিজুল হকসহ সাতজন সভা করছিলেন। সে সময় চেম্বারের সদস্য কাজল মিয়াসহ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হন। কাজল সভাপতি আজিজুলের দিকে এগিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক সভার রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। চেম্বারের অন্যান্য সদস্যের বাধার কারণে তিনি তা নিতে পারেননি। 

অভিযোগ প্রসঙ্গে চেম্বারের সাধারণ সদস্য কাজল মিয়া বলেন, এই কমিটির অধিকাংই আওয়ামী পন্থি লোক। তারা চেম্বারে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও চুরি করেছে। সভাপতি আজিজুল হক, সহসভাপতি কাজী জাহাঙ্গীরসহ অধিকাংশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তারা কোনো সভা করেনি। তারা সভা করতে চাইলে সবাইকে জানিয়ে সভা করুক। এভাবে চুপিসারে কেন। 

জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আজিজুল হক বলেন, তারা সভা করে চলে আসার পর একদল লোক চেম্বারে ঢুকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে। 
 
সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, চেম্বারে আওয়ামীপন্থি সদস্যরা সভা করতে এসেছিলেন। দুই থেকে আড়াই মিনিট বসে তারা চলে গেছেন। এ সময় বিএনপিপন্থি চেম্বারের সদস্যরা সেখানে যান। উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। মারধরের বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ