নাটোরের বড়াইগ্রামে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির ওপর রাস্তার নির্মাণকাজকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এনসিপির নেতাসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন এনসিপি উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুহু ইসলাম (৩৪) ও তাঁর বাবা রফিকুল ইসলাম (৭০); জমিটির মালিক মুরাদ হোসেন (৯২), তাঁর ছেলে সেলিম হোসেন (৩৩) ও সেলিমের স্ত্রী (২৮)। মুরাদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাকি ৪ জনকে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর গ্রামে মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত জমির ওপর দিয়ে অনেক আগে থেকেই পায়ে চলার একটি কাঁচা রাস্তা আছে। সম্প্রতি এনসিপির দলীয় ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে ওই রাস্তায় ইট বিছানোর কাজ করতে যান নুহু ইসলাম। তবে এতে বাধা দেন মুরাদ। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে ওই ৫ জন আহত হন।

নুহু ইসলাম বলেন, ‘আমাদেরসহ আরও কয়েকটি বাড়িতে চলাচলের রাস্তাটি কাঁচা। বৃষ্টি হলেই এতে কাদা জমে। দলীয় ফান্ড থেকে সহায়তা নিয়ে সেখানে ইট বিছানোর কাজ করতে গেলে মুরাদ হোসেন ও তাঁর পক্ষের লোকজন হামলা করে বাবা ও আমাকে জখম করেছেন।’

অন্যদিকে মুরাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হাই অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের ব্যক্তিগত জমি দিয়ে পায়ে চলার রাস্তা দিয়েছি। সেটি পাকা করে দখলের চেষ্টা করছিলেন নুহুরা। বাবা নিষেধ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাবা, ভাই ও ভাবিকে গুরুতর জখম করেছে। আব্বার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।’

এ বিষয়ে উভয় পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানান বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার ঘটনায় ডিইউজের উদ্বেগ

ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পর ৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানান ডিইউজের সভাপতি সাজ্জাদ আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিঞা।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন ডিইউজের নেতারা। তাঁরা বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা চলতে থাকলে কখনই ভয়ের সংস্কৃতি দূর হবে না।

অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিইউজে নেতারা। তাঁরা বলেন, তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে না—সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এমনটি আশ্বস্ত করা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে গত সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে একটি হত্যা মামলায় ৩১ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, মনজুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোহেল হায়দার চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম রতন, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, নজরুল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, আকতার হোসেন, দীপ আজাদ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, নঈম নিজাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, আবেদ খান, নাইমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, সাইফুল আলম, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মাঈনুল আলম, শাহজাহান সরদার, আশিষ সৈকত, জুলফিকার রাসেল, শাকিল আহমেদ, নাজমুল হক সৈকত, মামুনুর রহমান খান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ