নাটোরের বড়াইগ্রামে রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন- এনসিপির বড়াইগ্রাম উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুহু ইসলাম (৩৪), তার বাবা রফিকুল ইসলাম রাফি (৭০), মুরাদ হোসেন (৯২), তার ছেলে সেলিম হোসেন (৩৩) ও স্ত্রী রাহেদা বেগম (২৮)। গুরুতর আহত মুরাদ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবং অন্য চারজনকে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর গ্রামে মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত জমিতে অনেক আগে থেকে পায়ে চলাচলের একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই সেখানে কাদা জমে। সম্প্রতি এনসিপির দলীয় ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে নুহু ইসলাম ওই রাস্তায় ইট বিছাতে যান। এতে বাধা দেন মুরাদ হোসেন। এ নিয়ে আজ কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হন কয়েকজন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ

এনসিপি নেতা নুহু ইসলাম বলেন, ‍“আমাদের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে চলাচলের রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টি হলেই কাদা জমে। দলীয় ফান্ড থেকে সহায়তা নিয়ে সেখানে ইটের কাজ করতে গেলে মুরাদ হোসেনসহ তারা লোকজন হামলা করেন। তারা আমাকে ও বাবাকে জখম করেছে।’

মুরাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হাই বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগত জমি দিয়ে পায়ে চলার রাস্তা দিয়েছি। সেটাই পাকা করে দখলের চেষ্টা করছিলেন নুহু ইসলামরা। বাবা নিষেধ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার বাবা, ভাই ও ভাবিকে গুরুতর জখম করেছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।”

বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ জ ত য় ন গর ক প র ট আহত স ঘর ষ ইসল ম এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার ঘটনায় ডিইউজের উদ্বেগ

ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পর ৩১ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করায় উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ জানান ডিইউজের সভাপতি সাজ্জাদ আলম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিঞা।

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেন ডিইউজের নেতারা। তাঁরা বলেন, পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা চলতে থাকলে কখনই ভয়ের সংস্কৃতি দূর হবে না।

অবিলম্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান ডিইউজে নেতারা। তাঁরা বলেন, তদন্ত ছাড়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে না—সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এমনটি আশ্বস্ত করা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে গত সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে একটি হত্যা মামলায় ৩১ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমিন, ওমর ফারুক, মনজুরুল আহসান বুলবুল, শ্যামল দত্ত, আবদুল জলিল ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোহেল হায়দার চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম রতন, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, নজরুল ইসলাম মিঠু, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, আকতার হোসেন, দীপ আজাদ, জায়েদুল আহসান পিন্টু, নঈম নিজাম, মঞ্জুরুল ইসলাম, আবেদ খান, নাইমুল ইসলাম খান, মোজাম্মেল বাবু, সাইফুল আলম, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মাঈনুল আলম, শাহজাহান সরদার, আশিষ সৈকত, জুলফিকার রাসেল, শাকিল আহমেদ, নাজমুল হক সৈকত, মামুনুর রহমান খান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ