নাটোরে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে এনসিপি নেতাসহ আহত ৫
Published: 30th, June 2025 GMT
নাটোরের বড়াইগ্রামে রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- এনসিপির বড়াইগ্রাম উপজেলা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নুহু ইসলাম (৩৪), তার বাবা রফিকুল ইসলাম রাফি (৭০), মুরাদ হোসেন (৯২), তার ছেলে সেলিম হোসেন (৩৩) ও স্ত্রী রাহেদা বেগম (২৮)। গুরুতর আহত মুরাদ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এবং অন্য চারজনকে বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীরামপুর গ্রামে মুরাদ হোসেনের ব্যক্তিগত জমিতে অনেক আগে থেকে পায়ে চলাচলের একটি কাঁচা রাস্তা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই সেখানে কাদা জমে। সম্প্রতি এনসিপির দলীয় ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে নুহু ইসলাম ওই রাস্তায় ইট বিছাতে যান। এতে বাধা দেন মুরাদ হোসেন। এ নিয়ে আজ কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হন কয়েকজন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে ভ্যান চুরিকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
গাজীপুরে ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষ
এনসিপি নেতা নুহু ইসলাম বলেন, “আমাদের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে চলাচলের রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বৃষ্টি হলেই কাদা জমে। দলীয় ফান্ড থেকে সহায়তা নিয়ে সেখানে ইটের কাজ করতে গেলে মুরাদ হোসেনসহ তারা লোকজন হামলা করেন। তারা আমাকে ও বাবাকে জখম করেছে।’
মুরাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হাই বলেন, “আমাদের ব্যক্তিগত জমি দিয়ে পায়ে চলার রাস্তা দিয়েছি। সেটাই পাকা করে দখলের চেষ্টা করছিলেন নুহু ইসলামরা। বাবা নিষেধ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আমার বাবা, ভাই ও ভাবিকে গুরুতর জখম করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমার বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।”
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এ ঘটনায় উভয় পক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ জ ত য় ন গর ক প র ট আহত স ঘর ষ ইসল ম এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী