নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ
Published: 1st, July 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতেই হবে– এমনটা ধরে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য সহিংসতা প্রতিরোধে সেপ্টেম্বর ও নির্বাচনের ঠিক আগে দুটি যৌথ মহড়া পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে এক উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনে সহিংসতা হবে, এটা ধরেই প্রস্তুতি নিতে হবে’। তিনি জানান, সহিংসতা প্রতিরোধে সব বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে মহড়া চালাতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, কোনো একটি কেন্দ্রে সহিংসতা শুরু হলে তা মোকাবিলায় যৌথভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
‘ভুল করে আসিফের ব্যাগে ম্যাগাজিন রয়ে যায়’
বিমানবন্দরে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যাগে পাওয়া পিস্তলের ম্যাগাজিন নিয়ে বৈঠকে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় এমন হয়, আপনি একটা চশমা নিয়ে যাবেন, কিন্তু চশমা না নিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে রওনা হয়ে গেছেন। ব্যাগে ম্যাগাজিনটি ভুলে রয়ে যায়, এটা জাস্ট একটা ভুল। আসিফ মাহমুদ যদি আগে জানতেন, তাহলে কোনো অবস্থাতেই এটা নিতেন না। এ ছাড়া অনেকে বলছে, তিনি একে-৪৭-এর লাইসেন্স পেয়েছেন। এটা একে-৪৭ নয়।’
বৈধ লাইসেন্স পেতে বয়স ৩০ বছর হতে হয়। তবে আসিফ মাহমুদের বয়স ৩০ হয়নি। তাহলে তিনি এটা কীভাবে পেলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যেহেতু ওই আইনটা দেখিনি, সেহেতু এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
তিনি বলেন, আজকে আইনশৃঙ্খলার ওপর বিশেষ সভা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন দল, সামাজিক সংগঠনের অনেক অনুষ্ঠান থাকবে। এসব অনুষ্ঠান কীভাবে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগর ও পটুয়াখালীর ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তারা এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স বর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
শাটডাউনের বিপক্ষে জনজীবন
আওয়ামী লীগের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায় জনজীবনে তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, চানখারপুল, সচিবালয়, জিপিওসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে- যান চলাচল স্বাভাবিক, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক এবং বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডও অন্যান্য দিনের মতোই চলছে।
আরো পড়ুন:
ঢাবি শিক্ষক এরশাদের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি ছাত্র ফ্রন্টের
ঢাবিতে কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা-বিষয়ক জাতীয় প্রতিযোগিতা
সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার আধিক্য যেমন লক্ষ্য করা গেছে, বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীও দেখা গেছে। কোথাও যান সংকট হয়নি, বরং কিছু বাসে বাড়তি যাত্রীর চাপ ছিল।
গুলিস্তানে এক বেসরকারি অফিসকর্মী রিফাত হোসেন বলেন, “শাটডাউন বলে আজকে কিছুই বুঝলাম না। প্রতিদিন যেমন বের হই, আজও ঠিক তেমনই বের হয়েছি। রাস্তায় কোনো সমস্যা দেখিনি।”
চানখারপুলে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ মাহমুদা আক্তার বলেন, “শাটডাউনের নামে মানুষকে ভয় দেখানো ঠিক না। বাস কম হলেও চলাচল পুরোপুরি থেমে যায়নি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই অফিসে যাচ্ছি।”
ঠিকানা পরিবহন শ্রমিক শহীদুল ইসলাম বলেন, “শাটডাউন ডেকেছে শুনেছি, কিন্তু রাস্তায় কোনো প্রভাব নেই। পুলিশের বাড়তি অবস্থানও দেখি নাই। গাড়ি চলছে, যাত্রীও আছে।”
সচিবালয়ের কাছে একজন সরকারি চাকরিজীবী হাসিবুল করিম বলেন, “শাটডাউনের মতো কর্মসূচি কখনোই জনস্বার্থের পক্ষে নয়। এতে ব্যবসার ক্ষতি হয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়। আজকে যানচলাচল প্রতিদিনের মতোই।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক
নিষিদ্ধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সতর্ক উপস্থিতি বিশেষভাবে দেখা যায়নি। নিয়মিত দায়িত্বপালন ছাড়া আলাদা কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়েনি।
শাটডাউনের বিপক্ষে জনমতই শক্তিশালী
সরেজমিন চিত্র, সাধারণ মানুষের বক্তব্য এবং বিভিন্ন পরিবহন সংশ্লিষ্টদের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট- রাজধানীবাসী শাটডাউনের পক্ষে নয়। বরং জনজীবন স্বাভাবিক রাখার পক্ষেই তাদের মত।
রাজধানীর ৩৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম উদ্দীন বলেন, ব্যস্ত সকাল, মানুষের স্বাভাবিক আনাগোনা এবং চলমান পরিবহন কার্যক্রম প্রমাণ করেছে- শাটডাউন ঢাকার জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বরং জনগণ নিষেধাজ্ঞামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থানই দেখিয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/ফিরোজ