জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠন। জুলাইয়ের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার দলগুলো সারাদেশে আলোচনা অনুষ্ঠান, পথসভা, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

বিএনপির আলোচনা সভা
বিএনপি ৩০ জুন থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করবে। অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির ব্যানারে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। 
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিএনপি। সভার শিরোনাম ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া জুলাইয়ের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এনসিপির পদযাত্রা
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এনসিপি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় গণসংযোগ, প্রচারাভিযান, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। দলের শীর্ষ নেতারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। আজ সকাল ৮টায় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় গাইবান্ধা এবং বিকেল ৪টায় রংপুর সদরে পথসভা করবে দলটি।

জামায়াতের দোয়া
এর আগে গত শনিবার দুপুরে মগবাজারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ অভ্যুত্থানে নিহত, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের জন্য দেশব্যাপী শাখায় শাখায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দলটি। কেন্দ্রীয়ভাবে বেলা ১১টায় জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে পুরানা পল্টন কার্যালয়ে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

গণঅধিকারের আলোচনা সভা
গতকাল সোমবার মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণঅধিকার পরিষদ (নুর-রাশেদ)। এর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রাষ্ট্র সংস্কার (২০১৮-২০২৪)’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

অন্যান্য দলের কর্মসূচি
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হবে। ফ্যাসিবাদমুক্ত গণমাধ্যম, শেখ হাসিনার বিচার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের দাবিতে আজ বেলা পৌনে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শাহবাগ মোড় পর্যন্ত ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ কর্মসূচি পালন করবে জুলাই ঐক্য। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। এ ছাড়া ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন জ ল ই অভ য ত থ ন অন ষ ঠ ন ম সব য প ন করব ১১ট য় ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জাগপার ৩ দাবি, কর্মসূচি ঘোষণা

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩ দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ও কর্মসূচির কথা জানান জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে নির্বাচন যেমন প্রয়োজন, তেমনি পূর্ববর্তী সব গণহত্যার বিচারও অপরিহার্য। অথচ আমরা ক্রমাগত ভুলে যাচ্ছি পিলখানা, শাপলা চত্বর, মোদী বিরোধী আন্দোলন এবং লগি-বৈঠাসহ অসংখ্য রক্তক্ষয়ী ঘটনার কথা।

জাগপা নেতারা এ সময় দাবি করেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু গণতন্ত্র ও মানবাধিকারেরই নয়, জাতীয় সার্বভৌমত্বেরও পরিপন্থি।

রাশেদ প্রধান বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছেন।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তে হত্যা, পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়া, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং শেখ হাসিনাকে এক বছর ধরে দিল্লিতে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে ভারত তাদের আগ্রাসী অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাগপা তিন দফা দাবি পেশ করে। সেগুলো হলো-

১. গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াসহ সীমান্ত হত্যা, ভূমি দখল, পানির বণ্টনে বৈষম্য ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

২. জুলাই, পিলখানা, শাপলা চত্বর, মোদী বিরোধী আন্দোলন এবং লগি-বৈঠা গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৩. গুম, খুন, হামলা, মামলা, অর্থপাচার ও লুটপাটে জড়িত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ-এর বিচার করতে হবে।

এছাড়া জুলাইয়ে যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি-

১ জুলাই: জুলাই শহীদদের স্মরণে দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

২ জুলাই-৩০ জুলাই: ভারতীয় আগ্রাসন, গণহত্যা এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ৮ বিভাগীয় শহর এবং ২০ সাংগঠনিক জেলায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি।

৩১ জুলাই: আহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল।

৫ আগস্ট: বাংলাদেশের নাজাত দিবস পালন এবং শোকরানা নামাজ।

৬ আগস্ট: গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা সংস্কার চাই, ভারতীয় প্রভাবমুক্ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। কিন্তু তার আগে চাই ন্যায়বিচার ও জাতীয় মুক্তি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের গৌরবময় ঐক্যের বিপরীতে গোষ্ঠীস্বার্থের বিভক্তি
  • স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের জন্য মঙ্গলবার সারা দেশে বিশেষ দোয়া
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে জাগপার ৩ দাবি, কর্মসূচি ঘোষণা
  • আ.লীগের কাছে প্রচুর অবৈধ টাকা, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়: রিজভী
  • ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ থেকে সরে এলো সরকার
  • ১৬ জুলাই ‘শহীদ দিবস’, ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত: প্রেস সচিব  
  • ১৬ জুলাই ‘শহীদ দিবস’, ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত 
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা: আসিফ মাহমুদ