জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর হাতে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তির’ চেক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান হয়।

প্রধান উপদেষ্টার হাত থেকে বৃত্তির চেক নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের হাবীবা আক্তার, তেজগাঁও সরকারি কলেজের এস এম আবু তালেব ও ঢাকা কমার্স কলেজের খন্দকার মাহমুদুল হাসান।

এ বৃত্তির অধীনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজ ও ইনস্টিটিউটের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের এককালীন সহায়তা দেওয়া হবে। এ বছর ৭২৫টি প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থী এ বৃত্তি পেয়েছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মোট শিক্ষার্থী ৩১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি, যা দেশে উচ্চশিক্ষায় মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৭২ শতাংশ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ আছে ২ হাজার ২৫৭টি। জুলাই গণ-অভ‍্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৩২ জন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন।

আজ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, ‘এক বছর আগে তরুণেরা দেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের ফলে আমরা, সমগ্র জাতি, অধিকারবঞ্চিত প্রজা থেকে নতুন করে অধিকারভোগী নাগরিকে পরিণত হতে পেরেছি।’

সি আর আবরার আরও বলেন, ‘আমাদের এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে পুনর্গঠন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে স্বৈরাচার আর কখনো এ দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। তাই জুলাই গণ-অভ্যুত্থান পালনের এ দিনে আমরা সেই জাতীয় প্রত্যাশাকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করি। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের শুধু একটি নতুন দেশ দিয়েছে তা নয়, নতুন স্বপ্নও দেখিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানউল্লাহ, সহ–উপাচার্য লুৎফর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ এ টি এম জাফরুল আযম উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর নতুন সিওও মোহাম্মদ আসাদুর রহমান

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হয়েছেন মোহাম্মদ আসাদুর রহমান। গতকাল সোমবার তিনি এ পদে যোগ দিয়েছেন। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যোগদানের আগপর্যন্ত আসাদুর রহমান সিওওর পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

আসাদুর রহমান ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল সহকারী মহাব্যবস্থাপক হিসেবে ডিএসইতে যোগ দেন। ২০১৩ সালে তিনি উপমহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর ২০১৭ সাল থেকে ডিএসইর মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আসাদুর রহমান বিভিন্ন সময় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, টিআরইসি অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

কর্মজীবনে বিভিন্ন সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি হিসেবে আসাদুর রহমান ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, সাংহাই (চীন), ভারত, মালদ্বীপ, জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের একাধিক স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে সভায় অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ