ব্রিটিশ শেফ শন কেনওয়ার্দি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগৃহীত মেন্যু কার্ডগুলো সংগ্রহ করেছেন এবং বেশ কিছু রেসিপি নিয়ে গবেষণাও করেছেন। জানা গেছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রিয় রেসিপিগুলোর মধ্যে একটি ছিলো নারকেল চিংড়ি বা চিংড়ি মালাইকারি। স্বাদে-গন্ধে ভরপুর এই রেসিপি নিজেই তৈরি করে নিন। 

উপকরণ
চিংড়ি: ১ কেজি
নারকেলের দুধ: ৩ কাপ
নারকেল বাটা: ১ কাপ
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
পেঁয়াজ বাটা: ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
ঘি: ১ কাপ
ধনে গুঁড়া: ২ চা-চামচ
মরিচ গুঁড়া: ২ চা-চামচ
তেজপাতা: ২টি
এলাচ: ৩-৪টি
দারুচিনি: ২ ইঞ্চির ১টি
লবঙ্গ: ৩-৪টি
আস্ত ছোট পেঁয়াজ: ৮ টি
লেবুর রস: ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ: ৮টি
চিনি: ১ চা-চামচ
লবণ: স্বাদমতো।

প্রথম ধাপ

আরো পড়ুন:

আপেল দিয়ে চা বানিয়েছেন? তিন ধাপে বানিয়ে নিন আপেলের চা

বৃষ্টি এলেই কেন খিচুড়ি রান্না করা হয়?

প্রথমে চিংড়ি ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে লেজসহ এক পাশে রেখে দিন। 

দ্বিতীয় ধাপ

এ পর্যায়ে  চুলায় কড়াই গরম করে নিন। তাতে এক কাপ ঘি ঢেলে দিন। ঘি গরম হয়ে এলে একে একে পেঁয়াজ কুচি, তেজপাতা ছেড়ে দিন। পেঁয়াজ সামান্য লাল হয়ে এলেই ৩ কাপ পানি দিয়ে দিন। এরপর কিছু সময় জ্বাল দিন। পেঁয়াজ নরম হয়ে এলে এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেয়াজ বাটা, ধনে, জিরা এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে দিন। তারপর আরও কিছু সময় ভালো করে কষিয়ে নিন। প্রয়োজনে অল্প অল্প নারকেলের পানি দিয়ে কষিয়ে নিতে পারেন।

তৃতীয় ধাপ

তরকারি থেকে তেল এবং মসলা আলাদা হয়ে এলে এতে নারকেল বাটা দিয়ে অল্প কষিয়ে নিন। কষানো মসলার মধ্যে আস্ত পেঁয়াজ ও চিংড়ি ছেড়ে দিয়ে ২ মিনিট ভালো করে কষান। 

চতুর্থ ধাপ

শেষ পর্যায়ে এসে নারকেলের ঘন দুধ দিয়ে দিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। সুগন্ধ ঠিক রাখার জন্য মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ২ মিনিট পরেই ঢাকনা খুলে তাতে স্বাদমতো লবণ, চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে দিন। ব্যাস, পরিবেশনের জন্য রেডি চিংড়ির মালাইকারি।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন রক ল

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।

আরো পড়ুন:

ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত

জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।

তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।

বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ