ব্যবহারকারীদের প্রতারণামূলক বার্তা থেকে রক্ষা করতে একাধিক নতুন নিরাপত্তা–সুবিধা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। গতকাল মঙ্গলবার এক ঘোষণায় মেটার মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপটি জানিয়েছে, প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ৬ লাখ ৮০ হাজারের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছিল। নতুন নিরাপত্তা–সুবিধাগুলো ব্যক্তিগত ও গ্রুপ চ্যাটে প্রতারণামূলক বার্তা শনাক্তে সহায়তা করবে।

নিরাপত্তা–সুবিধাগুলো চালু হলে কোনো অপরিচিত ব্যক্তি ব্যবহারকারীদের নতুন কোনো গ্রুপে যুক্ত করলেই হোয়াটসঅ্যাপ একটি ‘সেফটি ওভারভিউ’ দেখাবে। এতে গ্রুপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদর্শন করা হবে। ফলে ব্যবহারকারীর কাছে গ্রুপটি পরিচিত মনে হলে তিনি চ্যাট খুলে বিস্তারিত দেখতে পারবেন। অন্যথা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রুপের নোটিফিকেশন বন্ধ থাকবে। ব্যবহারকারী আগ্রহ প্রকাশ না করা পর্যন্ত কোনো বার্তা দেখানো হবে না। এর ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তে কোনো সন্দেহজনক গ্রুপে যুক্ত হওয়া ও বিভ্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।

ব্যক্তিগত চ্যাটেও প্রতারণা প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা যুক্ত করছে হোয়াটসঅ্যাপ। অনেক প্রতারক প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য ওয়েবসাইটে পরিচিত হয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণামূলক বিভিন্ন বার্তা পাঠান। নতুন সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহারকারী যদি কন্ট্যাক্ট লিস্টে না থাকা কারও সঙ্গে চ্যাট শুরু করেন, তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ সেই ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু প্রাসঙ্গিক তথ্য দেখাবে।

এক ব্লগ বার্তায় হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, প্রতারণা প্রতিরোধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি কম্বোডিয়াভিত্তিক প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করে কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ওই চক্র চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে প্রতারণামূলক বিভিন্ন বার্তা পাঠিয়ে অর্থ সংগ্রহ করত।

সূত্র: টেক ক্রাঞ্চ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত ছবির স্থানে খালেদা জিয়ার উক্তি টানাল শিবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছাত্রশিবিরের প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যেও চলছে তাদের জুলাই প্রদর্শনী। তবে বিতর্কিত ছবিগুলো অপসারণ করে সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার উক্তি, বিচারকার্যের নানা অসঙ্গতি ও ভুয়া সাক্ষীর জবানবন্দির ছবি টানানো হয়েছে।

বুধবার (৬ আগষ্ট) প্রদর্শনীর পাশাপাশি পূর্বসুচী অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের এক বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন পুসাবের প্রতিনিধি সাদিক আল আরমান, জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

শেখ হাসিনার রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে বর্ণচোরা ষড়যন্ত্র করছে বামরা: ঢাবি শিবির

বামপন্থিদের চাপে নিজামী-সাঈদী-সাকা চৌধুরীদের ছবি সরালো ঢাবি প্রশাসন

টিএসসি প্রাঙ্গণে যথারীতি চলমান শিবিরের প্রদর্শনীতে কেবল বিতর্ক সৃষ্টি করা জামায়াত ও বিএনপি নেতৃবৃন্দের ছবিগুলো সরানো হয়েছে। তার জায়গায় যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ২০১১ সালে করা বেগম জিয়ার উক্তি, স্কাইপি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের ফিরিস্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ভুয়া সাক্ষীদের জবানবন্দির প্ল্যাকার্ড টানানো হয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিবিরের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল বাম সংগঠনগুলো। এ নিয়ে শিবির এবং বামপন্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ দেখা যায়।

তবে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে মবের কারণে প্রদর্শনী বন্ধ হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাবি শাখা শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ।

অন্যদিকে, প্রদর্শনীতে বিতর্কিত ছবি রাখায় শিবিরকে জবাবদিহিতা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিটিং করবে। শিবিরের কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হবে। তবে প্রদর্শনী বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ