জাতীয় পার্টি সব সময় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে আছে বলে জানিয়েছেন দলটির এক পক্ষের সম্মেলনে মহাসচিব নির্বাচিত এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। আজ রোববার সকালে গুলশানে নিজ বাসভবনে জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রুহুল আমিন হাওলাদার এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত মহাসচিব বলেন, দেশের স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অবশ্যই গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নেই। তাই জাতীয় পার্টি সব সময় গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে দরকার সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই জাতীয় পার্টি সব সময় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ কতটুকু অনুকূলে রয়েছে, তা গভীরভাবে ভাবার বিষয় রয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে আগে দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

এ সময় জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব হোসেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুব সংহতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৭ জুলাই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হকসহ (চুন্নু) ১০ জনকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের। পরে এসব নেতা আদালতের দ্বারস্থ হন। ৩১ জুলাই জি এম কাদের এবং যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত।

এই সুযোগে ‘আদালতের নির্দেশে দলের পদে বহাল হয়েছেন’ উল্লেখ করে জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণা দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক।

শনিবার ঢাকার গুলশানের এক পার্টি সেন্টারে জি এম কাদেরকে বাদ দিয়েই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং মহাসচিব হয়েছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। পাশাপাশি এই অংশের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশিদ এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান হয়েছেন মজিবুল হক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম হয় ছ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ