রোমে আটকা বিমানের বোয়িং, ফ্ল্যাপের সমস্যা
Published: 11th, August 2025 GMT
ইতালির রোমে আটকা পড়েছে বিমানের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। ফ্ল্যাপে সমস্যার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্র জানিয়েছে।
ইতালির রোমের স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি রোম থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন সেটি রোমের লেওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দরে ‘গ্রাউন্ডেড’ অবস্থায় রয়েছে।
ফ্ল্যাপ হলো বিমানের ডানার পেছনের দিকে থাকা একধরনের যন্ত্র, যা বিমানের ওড়া এবং অবতরণের সময় লিফট ও ড্র্যাগ বাড়াতে বা কমাতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিমানকে কম গতিতে উড়তে ও অবতরণে সহায়তা করে। টেক–অফ ও ল্যান্ডিংয়ের জন্যও এটি প্রয়োজনীয়।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত ফ্ল্যাপের ত্রুটির কারণেই উড়োজাহাজটির সমস্যা হয়েছে। এ কারণে রোম থেকে ঢাকার ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীদের হোটেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রোমে গ্রাউন্ডেড উড়োজাহাজটির মেরামতপ্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন রওশন কবীর। তিনি বলেন, ‘ফ্ল্যাপ মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ লন্ডন থেকে পাঠানো হচ্ছে। যন্ত্রাংশগুলো আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা নাগাদ রোমে পৌঁছাবে। এরপর ত্রুটি সারানোর কাজ করবেন প্রকৌশলীরা। একই ফ্লাইটে যাত্রীদের রোম থেকে দেশে ফেরানো হবে।
বিমানটিতে ২৬২ জন যাত্রী ছিলেন বলে বিমান সূত্র জানিয়েছে। এসব যাত্রীর জন্য বিকল্প কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। উড়োজাহাজটি মেরামত না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা বিমানের খরচে হোটেলেই থাকবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ হ জট
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫৩ ফিলিস্তিনি ১২ ঘণ্টা বিমানে আটকা
ভ্রমণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নয় মাসের গর্ভবতী এক নারীসহ ১৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে বিমানে আটকে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। শুক্রবার এ ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
বিমানে আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া এক ইমাম জানিয়েছেন, বিমানের ভেতরে প্রচণ্ড গরম ছিল এবং শিশুরা চিৎকার করে কাঁদছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কেনিয়ার নাইরোবিতে যাত্রাবিরতির পর বৃহস্পতিবার সকালে জোহানেসবার্গের ও.আর. টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিলিস্তিনিদের একটি চার্টার বিমানে অবতরণ করে।
ফিলিস্তিনি যাত্রীদের কাছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কোনো বহির্গমন স্ট্যাম্প ছিল না, তারা দক্ষিণ আফ্রিকায় কতদিন থাকবেন তাও উল্লেখ ছিল না এবং স্থানীয় ঠিকানাও ছিল না। এর ফলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে এবং গিফট অফ দ্য গিভার্স নামে একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ফিলিস্তিনিদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার পর পরিবার ও শিশুসহ ১৫৩ জন যাত্রীকে বিমান থেকে নামতে দেওয়া হয়।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৩ জন যাত্রী অন্য দেশে চলে গেছেন, ১৩০ জন দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়ে গেছেন।
গিফট অফ দ্য গিভার্সের প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ সুলিমান জানিয়েছেন, গত দুই সপ্তাহে এটি ফিলিস্তিনিদের বহনকারী দ্বিতীয় বিমান যা দক্ষিণ আফ্রিকায় অবতরণ করেছে এবং যাত্রীরা নিজেরাই জানেন না যে তারা কোথায় যাচ্ছেন। দুটি বিমানই যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে লোকদের বহন করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চার্টার বিমানটি কে পরিচালনা করেছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
ঢাকা/শাহেদ