পশুপালন অনুষদে নবীনদের বরণ করে নিলেন আন্দোলনকারীরা
Published: 11th, August 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কম্বাইন্ড (বিএসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি) ডিগ্রির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
এই আন্দোলনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীরা একাত্মতা পোষণ করায় তাদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করে নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ আগস্ট) সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এ সময় নবীন শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে তাদের ফুল ও চকলেট দিয়ে বরণ করা হয়।
আরো পড়ুন:
জবিতে র্যাগিং করায় ৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
মহাসড়কে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস
গত ৯ আগস্ট নবীন শিক্ষার্থীরা কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে অনুষদীয় নবীনবরণ অনুষ্ঠান বর্জন করেন। একইসঙ্গে তারা সোমবার (১১ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া সব ক্লাসও বর্জন করেন।
এ বিষয়ে এক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা পশুপালন অনুষদের ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় আন্দোলনের সঙ্গে থাকার ঘোষণা দিচ্ছি এবং আমরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি। সিনিয়ররা আমাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নব ন শ ক ষ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী