মঙ্গল গ্রহে স্টারশিপ মহাকাশযান পাঠানোর নতুন সময় জানালেন ইলন মাস্ক
Published: 11th, August 2025 GMT
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। এত দিন মঙ্গল গ্রহে স্টারশিপ মহাকাশযান পাঠানোর সম্ভাব্য সময় ২০২৬ সাল বলা হলেও এবার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছেন তিনি। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, স্টারশিপের সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের সময়সীমা ২০২৮ সাল নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে মানুষবিহীন ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এরপর ২০৩০ সালে মঙ্গল গ্রহে মানুষসহ মহাকাশযান পাঠানো হবে।
সম্প্রতি স্টারশিপ উৎক্ষেপণে ব্যর্থতা ও মহাকাশে প্রপেলেন্ট রিফুয়েলিং সমস্যার মুখে পড়েছে স্পেসএক্স। আর তাই মঙ্গল অভিযানের সময়সীমায় কিছুটা পরিবর্তন করেছেন ইলন মাস্ক। মঙ্গল অভিযান সফল করার জন্য কয়েকটি জটিল মাইলফলক অর্জন করতে হবে বলেও জানান তিনি।
এ বছরের শুরুতে ফ্লাইট ৯ উৎক্ষেপণের পর স্পেসএক্সের কর্মীদের কাছে মঙ্গল অভিযানের বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছিলেন ইলন মাস্ক। যদিও ফ্লাইট ৯ পৃথিবীতে পুনঃপ্রবেশের সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। আর তাই সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে ইলন মাস্ক স্টারশিপের মঙ্গল অভিযানের জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
স্টারশিপ প্রোগ্রাম নিয়ে ভীষণ আশাবাদী ইলন মাস্ক। আর তাই দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য স্টারশিপ মহাকাশযানের তাপনিয়ন্ত্রণ ও রকেট পুনরুদ্ধারের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, স্টারশিপ রকেটের মানোন্নয়ন করার মাধ্যমে ফ্যালকন রকেটের ওপরে নির্ভরতা কমাতে চাচ্ছেন ইলন মাস্ক।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ইলন ম স ক
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী