অবশেষে জর্জিনাকে বিয়ের প্রস্তাব রোনালদোর
Published: 12th, August 2025 GMT
অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত সেই ক্ষণটা এসেই গেল। পরিচয়ের ৯ বছর পর প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গুচির এক শোরুম থেকে যে গল্পটা শুরু হয়েছিল, সেটিই এখন চূড়ান্ত পরিণতি পাওয়ার অপেক্ষায়।
শুরুটা হয়েছিল ২০১৬ সালে মাদ্রিদের এক শীতের বিকেলে। বিকেলটা তখন সন্ধ্যার দিকে গড়িয়ে পড়ছে। সাধারণ চোখে সাদামাটা একটা দিন। কিন্তু দিনের রংটা বদলে যায় যখন সানগ্লাস পরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো মাদ্রিদে গুচির শো রুমে প্রবেশ করেন। কাউন্টারের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জর্জিনা রদ্রিগেজ নামের এক তরুণী।
রোনালদোর দুনিয়াবিস্তৃত খ্যাতির সামনে জর্জিনা নিন্তান্তই এক সাধারণ বিক্রয়কর্মী। কিন্তু প্রেম বা ভালোবাসা মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কিছুই। সেদিন চোখে চোখ পড়তেই শুরু হলো নতুন এক প্রেমের গল্প।
আরও পড়ুনরোনালদো দিলেন ১ কোটি ২০ লাখ টাকার উপহার, বাকরুদ্ধ জর্জিনা১৬ অক্টোবর ২০২১প্রথম দিনের দেখায় তেমন কোনো কথা না হলেও সেই মুহূর্তটা যে নতুন কিছুর জন্ম দিয়েছিল, তা বুঝতে বাকি রইল না কারোই। যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম। এরপরই নানা ছুতোয় দেখা করতে শুরু করলেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম দিকে প্রেমের কথাটা সবার কাছ থেকে গোপন রেখেছিলেন তাঁরা।
রোনালদো–জর্জিনাকে প্রথম একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা যায় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফিফা দ্য বেস্টের পুরস্কার অনুষ্ঠানে। তখনই মূলত এ দুজনের প্রেমের গুঞ্জনটা বাস্তবতায় রূপ নেয়। একই বছরের নভেম্বরে জর্জিনার জীবন আলোকিত করে আলানা মার্তিনা নামের কন্যাসন্তান। সে সময় রোনালদোর অন্য সন্তানদেরও দায়িত্বও নেন জর্জিনা। ২০২২ সালে আবারও মা–বাবা হন জর্জিনা–রোনালদো। জন্ম নেয় বেলা এস্মেরলাদা নামের আরেকটি কন্যাসন্তান।
শুধু সন্তানদের লালন–পালনই নয়, তখনই থেকে রোনালদোর সুখ–দুঃখ, আনন্দ–বেদনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে জর্জিনার নাম। রোনালদোর যেকোনো বিশেষ মুহূর্তে তাঁর পাশে দেখা গেছে জর্জিনাকে। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে জর্জিনাও ফ্যাশন ও বিনোদনজগতে নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন। তবে সবকিছু ঠিকমতো চললেও প্রেমটা পরিণয়ে রূপান্তরিত না হওয়ায় একটা আক্ষেপ যেন থেকেই গিয়েছিল। অবশেষে সেই আক্ষেপও মিটতে যাাচ্ছে এবার।
রোনালদোর বাগদত্তা হওয়ার খবরটি গতকাল নিজের ইনস্টাগ্রামে হ্যান্ডলে জর্জিনা নিজেই জানিয়েছেন। একটি হাতের ওপর হীরার আংটি পরা নিজের হাতের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে জর্জিনা লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি রাজি। এই জীবনে এবং আমার অন্য সব জন্মেও।’
আরও পড়ুনরোনালদোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন জর্জিনা২৮ এপ্রিল ২০২৩স্বাভাবিকভাবেই সবার ধারণা, অন্য হাতটি রোনালদোর। এই ছবিতে স্থান হিসেবে জর্জিনা ট্যাগ করেছেন সৌদি আরবের রিয়াদ শহরকে, যেখানকার ক্লাব আল নাসরে বর্তমানে খেলছেন রোনালদো।
এখন রোনালদো ও জর্জিনা কবে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হবেন, সেদিকেই চোখ থাকবে সবার। তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানটা নিশ্চিতভাবে মনে রাখার মতোই একটা ঘটনা হতে যাচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
সাফল্যের ঝুড়ি পূর্ণ, তবু শিখতে চান
তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় তারকা পারসা ইভানা। রিয়্যালিটি শো ‘চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে ২০১৪’তে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। নাচের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরিয়ে অভিনয় শুরু করেন। নাচ ছাপিয়ে তখনই স্বপ্ন দেখতেন, একদিন অভিনেত্রী হবেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আগেই। ইভানা এখন এই সময়ের ব্যস্ত তারকাদের একজন।
পারসা ইভানার দাদাবাড়ি চট্টগ্রামের লাভ লেন এলাকায়, নানাবাড়ি রাউজানে। দাদাবাড়ি ও নানাবাড়ি ঘিরে রয়েছে এই তারকার অনেক স্মৃতি। জানালেন, ছোটবেলায় ঈদুল আজহায় সবচেয়ে বেশি মজা হতো। আর মজা হতো বছরের শেষে যখন স্কুল ছুটি হতো। রাউজানে নানাবাড়ির স্মৃতির কথা মনে করে ইভানা বলেন, ‘আমাদের কাজিন গ্রুপ ছিল। সবাই মিলে তখন মাটির চুলায় নিজেরা রান্না করতাম। নানা খেলাধুলায় মেতে থাকতাম। চট্টগ্রামে দারুণ মজার ছিল সেসব দিন।’
ঢাকার কোনো রেস্তোরাঁয় যখন চট্টগ্রামের জনপ্রিয় আঞ্চলিক খাবার দেখেন, তখনই চট্টগ্রামের কথা মনে পড়ে পারসা ইভানার। চোখের সামনে তখন ভেসে ওঠে আঞ্চলিক খাবার। অনেক ধরনের পিঠাও তাঁর প্রিয় তালিকায় রয়েছে, ছোটবেলায় খাওয়া সেসব পিঠার নাম মনে করতে পারেন না তিনি। চট্টগ্রামের খাবারের মধ্যে ইভানার প্রিয় তালিকায় রয়েছে মেজবানি গোশত, কালাভুনা, লইট্টা মাছ। চট্টগ্রামের এসব খাবার এখন ঢাকায়ও পাওয়া যায়, প্রায় সময় এসব খাবারের স্বাদ নেওয়া হয়। পারসা ইভানা বলেন, ‘চট্টগ্রামের খাবার দেখলে বা কথা মনে হলেই জিভে পানি এসে পড়ে। ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে যায়। দাদা-নানাবাড়িতে কত ধরনের খাবার যে খেয়েছি।’
পারসা ইভানার দাদাবাড়ি ও নানাবাড়িতে এখন আর কেউ থাকেন না। সবাই দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। ইভানা জানালেন, ‘আমার আব্বুর পরিবার বড়। চাচা-ফুফুদের কেউ কেউ মারা গেছেন। যাঁরা বেঁচে আছেন তাঁদের কেউ ঢাকায় আবার কেউ বিদেশে যেমন ইতালি, ইউকে ও আমেরিকায়। নানাবাড়িরও একই অবস্থা। তাই এখন আর চট্টগ্রামে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যাওয়া হয় না। কিন্তু খুব মিস করি, সেসব দিন।’ তিনি বলেন, আত্মীয়স্বজন না থাকলেও চট্টগ্রামের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়া হয় তাঁর। মাসখানেক আগেও একবার চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। গেলেই ইচ্ছে করে দাদাবাড়ি ও নানাবাড়ি ঘুরে আসতে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তা হয়ে ওঠে না।
একটি নাটকের দৃশ্যে সহশিল্পী ইরফান সাজ্জাদের সঙ্গে