ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার আমৃত্যু কারাদণ্ড
Published: 12th, August 2025 GMT
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আলী ইমাম খান ওরফে অনুকে (৩০) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আলী ইমাম খান সম্প্রতি জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাসুদুর রহমান।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ মে সকাল ১০টার দিকে ঝালকাঠি শহরতলির ইকোপার্ক এলাকায় আলী ইমাম খান তাঁর স্ত্রী সায়মা পারভীন ওরফে তানহাকে (১৯) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে শহরতলি ইকোপার্ক এলাকায় গিয়ে নিহত সায়মা পারভীনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সায়মার ব্যাগে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি পাওয়া যায়।
সায়মা পারভীন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আলী ইমাম ঝালকাঠি শহরের ফকির বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহেব হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সেদিন রাতেই সালমার বাবা শাহাদাৎ তালুকদার জামাতা আলী ইমামকে একমাত্র আসামি করে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার ঘোষ আসামি আলী ইমামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ২০২৪ সালের ৪ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালত ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ রায় দেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঝ লক ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধঘোষিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আলী ইমাম খান ওরফে অনুকে (৩০) আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঝালকাঠি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
আলী ইমাম খান সম্প্রতি জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাসুদুর রহমান।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ মে সকাল ১০টার দিকে ঝালকাঠি শহরতলির ইকোপার্ক এলাকায় আলী ইমাম খান তাঁর স্ত্রী সায়মা পারভীন ওরফে তানহাকে (১৯) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তোলেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। পরে পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে শহরতলি ইকোপার্ক এলাকায় গিয়ে নিহত সায়মা পারভীনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় সায়মার ব্যাগে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি পাওয়া যায়।
সায়মা পারভীন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আলী ইমাম ঝালকাঠি শহরের ফকির বাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহেব হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সেদিন রাতেই সালমার বাবা শাহাদাৎ তালুকদার জামাতা আলী ইমামকে একমাত্র আসামি করে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার ঘোষ আসামি আলী ইমামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ২০২৪ সালের ৪ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালত ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ রায় দেন।