জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ নেতাকর্মীদের নামে মামলা প্রত্যাহার করার দাবি, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। 

মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির আয়োজনে বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকালে নগরী সেন্ট্রাল রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার নেতৃত্বে বিক্ষোভে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শত শত নেতাকর্মী অংশ নেয়।

মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দলের বহিষ্কৃত নেতা মজিবুল হক চুন্নু, রুহুল আমিন হাওলাদার ও আনিসুল হককে উত্তরাঞ্চলে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন:

জয়নাল হাজারী কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

বিসিএসে অযৌক্তিক অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাপা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় নেতা হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জেলা ও মহানগরের নেতারা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘‘শান্তিপ্রিয় দল জাতীয় পার্টি। আর চেয়ারম্যান অত্যন্ত নম্র এবং ভদ্র মানুষ। অথচ তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। যা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি দলের প্রধানের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টার শামিল।’’ তাই দ্রুত জাপা চেয়ারম্যানের নামে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

দেশের চলমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘‘দেশে একের পর এক খুন, ধর্ষণ, মব ভায়োলেন্স সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশে মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে রাখা হয়েছে। এই পরিবেশের উন্নতি না করে দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’’ তাই প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের আগেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি জানান তিনি। 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির অভিযোগ করেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের তরিকায় অন্তর্বর্তী সরকারও জাতীয় পার্টির প্রতি বৈরি আচরণ করছে। তবে আগামী দিনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে দেশের সকল আসনে জাতীয় পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।’’ 

জাতীয় পার্টির দুর্গখ্যাত রংপুরে ষড়যন্ত্র করা হলে তা মোকাবিলা করার হুঁশিয়ারি দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইয়াসির।
 

ঢাকা/আমিরুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে। 

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা

পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন

সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।

ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”

সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”

তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”

তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ