মাধুরীর সঙ্গে বিতর্কিত চুম্বন দৃশ্যে নিয়ন্ত্রণ হারান নায়ক
Published: 14th, August 2025 GMT
এটিকে মাধুরী দীক্ষিতের অভিনয় ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিতর্কিত দৃশ্য বললেও ভুল হবে না। দৃশ্যটি নিয়ে সেই সময়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল। বিনোদ খান্নার সঙ্গে ‘দয়াবান’ সিনেমার দৃশ্যটি নিয়ে এখনো চর্চা হয়।
ঘটনা জানতে পিছিয়ে যেতে হবে আশির দশকের শেষভাগে; বিনোদ খান্না ছিলেন সেই সময়ের আলোচিত তারকাদের একজন। নির্মাতা ফিরোজ খান ১৯৮৮ সালে ‘দয়াবান’-এ নেন উঠতি নায়িকা মাধুরীকে। তখন কে জানত ৪২ বছর বয়সী বিনোদ খান্নার বিপরীতে অভিনয় ২১ বছরের মাধুরী দীক্ষিতের একটি দৃশ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইবে।
ছবির সেই বিতর্কিত চুম্বন দৃশ্যে বিনোদ নাকি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন, কামড় দিয়েছিলেন মাধুরীর ঠোঁটে। পরে বিনোদ খান্না প্রকাশ্যে মাধুরীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
‘দয়াবান’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব তর ক
এছাড়াও পড়ুন:
দেশবাসীকে ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জামায়াত আমিরের
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দুটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে দেশবাসীকে ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ আজ এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। নানা রাজনৈতিক উত্তাপ, সামাজিক অস্থিরতা ও দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার মাঝে আমাদের জন্য জরুরি হলো—ন্যায়বিচার, সত্য এবং জনগণের অধিকারকে সবচেয়ে উঁচু আসনে প্রতিষ্ঠা করা।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি দেশ তখনই সত্যিকার অর্থে অগ্রসর হয়, যখন সেখানে বৈধতা, ন্যায়, স্বচ্ছতা এবং জনগণের মতামত সর্বাধিক মর্যাদা পায়। ব্যক্তিনির্ভর রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, নীতিনির্ভর রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করাই আজ সময়ের দাবি।
এই সংকটময় সময়ে আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই—আমাদের সংগ্রাম কারো বিরুদ্ধে নয়; আমাদের সংগ্রাম ন্যায়, অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সব নাগরিক নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারে, যেখানে বিচার হবে নিরপেক্ষ, এবং যেখানে পরিবর্তন আসবে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে।
আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখুন। আমাদের লক্ষ্য হোক শান্তি, ন্যায় ও জাতীয় পুনর্গঠন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেশকে সত্য, ন্যায় ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করুন।”
আজ একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ঢাকা/রফিক