প্রবাসীর পরিত্যক্ত ঘরে মিলল ৩০ হাতবোমা
Published: 14th, August 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় এক প্রবাসীর বাড়ির পরিত্যক্ত ঘর থেকে অন্তত ৩০টি হাতবোমা জব্দ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের পোড়াগাছা এলাকায় এসব হাতবোমা জব্দ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানিয়েছে, পোড়াগাছা এলাকার মিলন মাদবর দীর্ঘদিন ধরে ওমানে থাকেন। তার বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘর ফাঁকা ছিল। ওই ঘরে হাতবোমা রাখা আছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পাঁচটি বালতিতে রাখা অন্তত ৩০টি হাত বোমা জব্দ করা হয়। পরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে খবর দেওয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরো পড়ুন:
মাগুরায় পেট্রলবোমা হামলা: রায় ঘোষণার দিনে আসামিদের জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন
বোমা হামলার প্রতিবাদে নওয়াপাড়ায় ব্যবসায়ীদের অর্ধদিবস ধর্মঘট
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) ড.
ঢাকা/আকাশ/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী